তদন্ত রিপোর্ট: আমাদের সামনে এমন অসংখ্য গাছ অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে থাকে যে গাছগুলো মানবদেহের শত রোগের মহা ঔষধ। তবে আপনি-আমি আগাছা ভেবে কেটে উজাড় করে ফেলি এসব গাছের গুণগত দিক না জানার কারণে।
চলুন আজকে জেনে নেই আমরুল গাছের উপকারীতা সম্পর্কে:-
১। পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটির জন্য দারুণ কার্যকর কয়েকটি পাতা চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস দূর হয়। ২। জ্বর ও সর্দি উপশমে সহায়ক পাতার রস সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং সর্দি কমে। ৩। পিপাসা ও মুখের তৃষ্ণা কমায় গ্রীষ্মকালে মুখ শুকিয়ে গেলে এই গাছের পাতা চুষে খেলে আরাম পাওয়া যায়। ৪। পাইলস বা অর্শ রোগে উপকারী শুকনো পাতা গুঁড়ো করে সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে খেলে উপকার মেলে। ৫। চোখের লালচে ভাব ও যন্ত্রণা কমায় পাতার রস ছেঁকে তুলায় নিয়ে চোখে লাগালে আরাম দেয়। ৬। লিভার পরিষ্কারে সহায়ক নিয়মিত পাতার রস সেবনে যকৃৎ পরিষ্কার হয় এবং শরীর থাকে সতেজ। ৭। চর্মরোগ বা ত্বকের ঘা-জখমে ব্যবহার হয় পাতার বাটা ক্ষতস্থানে লাগালে দ্রুত শুকায় ও ব্যথা কমে। ৮। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহায়ক গবেষণায় দেখা গেছে, এই গাছ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ৯। কৃমিনাশক হিসেবে কার্যকর শিশুদের কৃমির সমস্যায় পাতার রস এক ফোঁটা করে মধুর সাথে দেয়া যেতে পারে। ১০। হজম শক্তি বাড়ায় ও ক্ষুধা বাড়ায় পাতার রস লবণ দিয়ে খেলে হজম ভালো হয় ও ক্ষুধা ফিরে আসে।
তবে জিনিসের যেমন ভালো দিক তাকে তেমন খারাপ দিকও তাকে। আমরুল গাছের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:-
১। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। দিনে ৫-৭টি পাতা বা ১-২ চামচ রস যথেষ্ট ও ২। মনে রাখবেন প্রকৃতির এই ছোট গাছটিই আপনার ঘরেই ওষুধ হতে পারে।
আমরুল গাছের উপকারীতা মানবদেহের জন্য শত রোগের মহা ঔষধ তাই এ গাছ আগাছা নয় এটি উপকারের খনি।
Leave a Reply