ভূয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামানের খুটির জোর কোথায়? | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
তিন দফা দাবিতে রুয়েটে বিক্ষোভ রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন মাদকদ্রব্য আটক প্রসঙ্গে। ইলিশের কম ধরা পরায় বাজারে দাম বেশি: ফরিদা আখতার ঝিকরগাছায় বাস ও পিক‌আপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ মাদ্রাসার ছাত্রকে অপহরণকারী ২জন যুবক মুক্তিপণ সহ লোহাগাড়ায় গ্রেফতার রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন মাদকদ্রব্য আটক প্রসঙ্গে রৌমারীতে ৮ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও একটি মোটরসাইকেলসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে রৌমারী থানা পুলিশ লোহাগাড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু পটুয়াখালীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত…
ভূয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামানের খুটির জোর কোথায়?

ভূয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামানের খুটির জোর কোথায়?

তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সভাপতি ডেভিল রাশেদ খান মেনন। তারই সুপারিশে ২০১৩ সালে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে দলিল লেখক এর সনদ হাসিল করেন সিলেটের রাশেদুজ্জান রাশেদ। যা বাংলাদেশ নিবন্ধন অধিদপ্তরের ডায়রী নং১৩৮৪৫ তারিখ-২৫.১১.২০১৩।

তখন আবদনে তিনি নিজেকে সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুইজন দলিল লেখকের দীর্ঘদিনের সহকারী দাবি করেন। আবদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি সনদের কপিও সংযুক্ত করে দেন। সনদ প্রাপ্তির পরপরই তৎকালীন শাসকদলীয় দলিল লেখক হিসেবে পুরো সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিস একহাত করে নেন তিনি। সর্বত্র বহুল আলোচিত হয়ে ওঠা এই দলিল লেখক রাশেদুজ্জানের বাড়ি সিলেট জেলার গোলাপগন্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জ কতোয়ালপুর উত্তরপাড়ায়। তিনি ওই পাড়ার মৃত সবুর মিয়ার পুত্র।

রাশেদুজ্জামান রাশেদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তিনি এসএসসি পাশের জাল সনদে দলিল লেখকের সনদ হাসিল করেছেন,যা সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সনদ নং-৩১৭। নিবন্ধনকালে তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার যে সনদ দাখিল করেছিলেন সেটি ছিল দি সিলেট এইডেড হাই স্কুলের ২০০৬ সালের সনদ। অথচ ২০০৬ সালে এইডেড হাইস্কুল থেকে যে ২২৯ জন এসএসসি পাশ করেছিলেন তাদের তালিকায় রাশেদুজ্জামান রাশেদ নামের কেউই ছিলেন না।

পতিত সরকারের শাসনামলে ভুয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামান সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে সিলেট সদরের সকল সাবরেজিস্ট্রার ও তার অধীনস্তদের
নানা ভয় ভীতি দেখিয়ে অবৈধ দলিল সম্পাদন,ভূমির খতিয়ান ও শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে দলিল সম্পাদন করিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাকি, এমনকি সরকারি সম্পত্তি এবং চা বাগানের ভূমিও ব্যক্তির নামে দলিল করিয়ে দিতে সক্ষম হন।
এক কথায় সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্চারী, নকল নবীশ ও ডিড রাইটারদের সম্পূর্ণ জিম্মি করে রেখেছিলেন তিনি। তার কোনো অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না কারোর।

কিন্তু গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তন ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তার অপরাধ অপকর্মের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন সিলেট সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা অবিলম্বে দলিল লেখক রাশেদুজ্জামানের বহিস্কার ও তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন।

কিন্তু তা সত্বেও অজ্ঞাত কারণে ভূয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন তারা। তাই সবার একই প্রশ্ন, ভূয়া দলিল লেখক রাশেদুজ্জামান রাশেদের খুটির জোর কোথায়?

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

error: Content is protected !!