তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিলেট দক্ষিন সুরমার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের যমুনা মার্কেটের পিছনের গলি, রেলষ্টেশন ও চাঁদনীঘাট মাছ বাজারে পৃথক তিনটি জুয়ার বোর্ডের মালিক মিতালি বাস মালিক সমিতির সদস্য হবিগঞ্জের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, শ্রিরাপুর এলাকার রাজন মোল্লা ও আল আমিন।
তাদের শেল্টারদাতা মিতালী বাস শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া। শ্রমিকদের ক্ষমতাকে পুঁজি করে নজরুলের নেতৃত্বে তিনটি বিশাল জুয়ার আসর বসে প্রতিদিন রাতে উল্লেখিত তিনটি স্পটে। যা থেকে শ্রমিকদের নামে একটি বড় অংকের টাকা নেন শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া। জুয়ার বোর্ডগুলো চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। পুলিশের কোন বাহিনী নজরুলের এ সকল জুয়ার বোর্ড বন্ধ করতে পারেননি। সাবেক কমিশনারের নির্দেশেও বন্ধ হয়নি নজরুলের জুয়ার বোর্ডগুলো। নজরুল ক্ষমতার উৎস শ্রমিকনেতা সেলিম মিয়া।
এবার দক্ষিণ জোনের ডিসি নির্দেশে গত (৫ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে নজরুলের জুয়ার বোর্ডে যৌথ অভিযান চালান দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ও টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসির নেতৃত্বে প্রায় দুই ডজন পুলিশ সদস্য। তখন হামলার শিকার হন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মিজানুর রহমান, ট্রার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির আইসি লোকমান হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। হামলার শিকার হওয়ার পর রাতেই গোপনে ফাঁড়ির আহত আইসিকে হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বলে সুত্র জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীমতে- ওসিও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন যদিও এখন ওসি হামলার বিষয়টি গোপন করছেন। এসময় নজরুল ও রাজন মোল্লাসহ জুয়াড়িরা পুলিশের একটি গাড়িও ভাংচুর করে। পরে প্রাণ রক্ষায় ওসিকে ফাঁড়ির অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে থানায় নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয় বলেও সুত্র জানায়। এ ঘটনার পর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদেরকে হামলা করতে তাড়ায় জুয়াড়িরা। কিন্তু গত ৫ জানুয়ারি ঘটনাটি ঘটলেও এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। ঘটনার পর থেকে শেল্টারদাতা সেলিমসহ বেশ কিছু শ্রমিক নেতা থানা ও ফাঁড়িতে গিয়ে গোপনে বিষয়টি মীমাংসা চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে পুলিশের একটি সুত্র নাম না প্রকাশের শর্তে নিশ্চত করেন।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে এখনও চলছে দফায়-দফায় গোপন বৈঠক। সূত্র জানায়- ওসি এসব কমিশনাকেও জানান নি। এরপর পিছনে রহস্যটা কি? এ প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে কোন মামলা বা অভিযোগ দায়ের হয়নি।এ ঘটনার পর হইতে নজরুলের জুয়ার বোর্ডগুলোতে জনশুন্য রয়েছে বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করে।
Leave a Reply