তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার অসংখ্য সীমান্ত দিয়ে বানের জলের মতো দেশে আসছে ভারতীয় চোরাই গরু-মহিষ। এসকল সীমান্ত পথে আসা ভারতীয় চোরাই গরু-মহিষ বিক্রির নির্ভরযোগ্য স্থান হিসেবে এ উপজেলার হাদারপার বাজারে ওয়াকফ ভূমিতে গড়ে উঠেছে চোরাই পশুর বিশাল এক জমজমাট হাট। মূলত এই বাজার থেকে জৈন্তাপুর থানার হরিপুর বাজার ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলসহ সমগ্রঃ দেশে পাচার হচ্ছে ভারতীয় চোরাই গরু-মহিষ।
আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এ বাজার নিয়ন্ত্রণ করলেও বিগত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে হাদারপার গ্রামের বাসিন্দা ও খেলাফত মজলিস দলের নেতা আখলাকুল আম্বিয়ার ভাগ্যর দোয়ার খুলে। এখন আম্বিয়া সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ওয়াকফ ভূমিতে জমে উঠে জমজমাট চোরাই পশুর বিশাল হাট।
এ চোরাই পশুর হাট নিয়ন্ত্রণে আম্বিয়ার অপরাপর সহযোগী হিসেবে সিন্ডিকেটে রয়েছেন- উপজেলার রস্তুমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীনসহ স্থানীয় তহসীলদার বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ রয়েছে- ভারত থেকে অবৈধ পথে নিয়ে আসা হাজার হাজার গরু-মহিষ সর্ব প্রথম এ বাজারে জড়ো করা হয়। এরপর এগুলোকে বাজারের হাসিল রসিদ দিয়ে বাংলাদেশি গরু সাজিয়ে অন্যত্র পাঠানো হয়। এসব কিছু জেনেও অদৃশ্য কারণে অন্ধ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এ বাজারসহ চোরাই গরু-মহিষ দেশীয় হিসেবে সমগ্রঃ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে এ সিন্ডিকেট চালাচ্ছে জমজমাট বাণিজ্য।
তবে এসব অবৈধ টাকার থানার ওসি ও উপজেলা প্রশাসনের টেবিলে নিয়মিত পৌঁছে যায় বিধায় রহস্যজনক কারণে নিরব তারা বলে অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের।
অভিযোগ অস্বীকার করে আখলাকুল আম্বিয়া গণমাধ্যমকে জানান- তিনি একজন মাওলানা আর তিনি বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের ফেভারিট দল খেলাফত মজলিস করেন। ভারতীয় চোরাই গরু-মহিষের ব্যবসায় তার কোনো সর্ম্পৃক্ততা নেই। হাদারপার বাজারে গরুর হাট বন্ধ। তারা হাট পূনরায় চালুর চেষ্টা করছেন বলেও বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
Leave a Reply