একাধিক পত্রিকার ভূয়া পরিচয়ধারী মমিন আনসারীর তান্ডবে গনমাধ্যম প্রশ্নবিদ্ধ! | তদন্ত রিপোর্ট

বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মোহনগঞ্জ বাজারের সুইচগেট মোড়ে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা—দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর সিলেটে ১৩ কোটি টাকার বালু ৩৮ লাখে বিক্রি জাফলং এএসআই রেজওয়ানকে ম্যানেজ করে বালু-পাথর হরিলুট রৌমারীতে লকডাউন বিরোধী কর্মকাণ্ডে তিনজন গ্রেফতার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গান পাউডার ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জামাদি সহ আটক ১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর- ভোলাহাট) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন আমিনুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত নাচোলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ ভাঙ্গুড়ায় জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
একাধিক পত্রিকার ভূয়া পরিচয়ধারী মমিন আনসারীর তান্ডবে গনমাধ্যম প্রশ্নবিদ্ধ!

একাধিক পত্রিকার ভূয়া পরিচয়ধারী মমিন আনসারীর তান্ডবে গনমাধ্যম প্রশ্নবিদ্ধ!

Manual1 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীতে ‘তদন্ত রিপোর্ট’ নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার ভূয়া সম্পাদক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছে অবৈধ কার্ড বাণিজ্য ও সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে প্রতারণা। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এই অপকর্মের মূল হোতা এম এ মোমিন আনসারীর নাম, যিনি নিজেকে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষ ও মফস্বল সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন।

Manual3 Ad Code

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ‘তদন্ত রিপোর্ট’ পত্রিকার প্রকৃত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ রায়হান হোসেন পত্রিকায় একটি কড়া হুঁশিয়ারি সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন এবং এম এ মোমিন আনসারীর নামে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। ওই নোটিশে বলা হয়, পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ডিএ-৪২০/৯২-এর অধীনে প্রকাশিত ‘জাতীয় সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট’-এর নাম ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ বেআইনি।

মোঃ রায়হান হোসেন তার ঘোষণায় বলেন, “আমি ‘তদন্ত রিপোর্ট’ পত্রিকার প্রকৃত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে এম এ মোমিন আনসারীকে প্রকাশনা, কার্ড বিতরণ, প্রতিনিধি নিয়োগসহ সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিচ্ছি। তিনি যেন অবিলম্বে আমাদের পত্রিকার নাম ব্যবহার করে ভুয়া সম্পাদকের পরিচয় বন্ধ করেন।”

Manual5 Ad Code

তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর সিলেট জজ কোর্টের এডভোকেট ইয়াসমিন বেগমের মাধ্যমে এম এ মোমিন আনসারীর ঠিকানায় একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হলেও, তিনি তা উপেক্ষা করে কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিয়মিতভাবে ‘তদন্ত রিপোর্ট’ পত্রিকার অনুমতি ছাড়াই কার্ড বিতরণ, প্রতিনিধি নিয়োগ ও সাংবাদিকতার আড়ালে অবৈধ লেনদেন পরিচালনা করে যাচ্ছেন।

Manual7 Ad Code

পত্রিকার নামে প্রতারণা:
এম এ মোমিন আনসারী কেবল একটি নয়, বরং একাধিক পত্রিকার নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর “দৈনিক সময়ের কণ্ঠ” পত্রিকার সম্পাদক মোঃ বোরহান হাওলাদার জসিম এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানান, “এম এ মোমিন আনসারী আমাদের পত্রিকার নাম ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করছে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এতে পত্রিকার ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ‘দৈনিক সময়ের কণ্ঠ’ একটি স্বনামধন্য পত্রিকা, যা বিগত ২২ বছর ধরে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হয়ে আসছে। অথচ এম এ মোমিন আনসারী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ পত্রিকার নাম ব্যবহার করে ‘শীঘ্রই বাজারে আসছে’ শিরোনামে স্ট্যাটাস দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

এই এম এ মমিন আনসারী সাপ্তাহিক মুক্ত বাংলা সহ দৈনিক স্বাধীন ভাষা পত্রিকার পরিচয় দিয়ে আসছেন আরো জানা যায় একাধিক অনলাইন পত্রিকাও রয়েছে এতো মধ্যেই প্রশ্ন উঠে একটি পত্রিকা তালাতে হলে নির্দিষ্ট একটা মোটামুটি ভালো বাজেট ব্যাংকে জমা রাখতে হয়,তাহলে উনি কত টাকার মালিক এতো গুলো পত্রিকা পরিচালনা করছেন।

অনুসন্ধানে দৃষ্টান্ত মূলক আরো একটি বিষয় উঠে আসে এই মমিন আনসারী ১১ টি মিডিয়া তথা প্রিন্ট ও অনলাইন মিলিয়ে সব গুলো সহ একটি চাঁদনী মিডিয়া কর্পোরেশন তৈরি করেন সেই চাঁদনী মিডিয়া কর্পোরেশনের ২০ পার্সেন্ট শেয়ার বিক্রি করেন ২০ লক্ষাধিক এর অধিক হাতে আড়াই লাখ টাকা আসলে মমিন আনসারীর সাথে এক সাপ্তাহ যোগাযোগ করে পাননি গাইবান্ধা গ্রুপ । ঘটনা সুত্রে বোঝা যায় এটিও ছিল তার প্রতারণা। তেমনি বেকার মুক্ত বাংলাদেশ সহ কিছুদিন পর পর নতুন নতুন কর্মসংস্থান এর নামে দীর্ঘ দিন চলে আসছে তার প্রতারণা।

স্থানীয়দের অভিযোগ,টঙ্গীর স্থানীয় কিছু ব্যক্তির ভাষ্যমতে, “এম এ মোমিন আনসারীর ‘তদন্ত রিপোর্ট’ নামক পত্রিকা মূলত টাকার বিনিময়ে চলে। নিউজ করে দেওয়ার নাম করে মোটা অংকের লেনদেন করেও সঠিক ভাবে নিউজ না করা।

Manual8 Ad Code

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভুয়া পরিচয়ধারী প্রতারকদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকতার সুনাম আজ প্রশ্নবিদ্ধ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত, অবিলম্বে এম এ মোমিন আনসারীর মতো ভুয়া সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অনুসন্ধান চলমান….

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code
error: Content is protected !!