তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের গায়েবি প্রজেক্ট দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মো জামিল ইকবালের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়- সিলেট সিটি কর্পোরেশন মালিকনাদীন সিলেট কেন্দ্রীয় বাস ও ট্রাক টার্মিনালের সিসিকের একটি প্রকল্প রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিট কম্পিউটারাইজ টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশনের প্রকল্পটির কাজ ১জুন ২০২০ সালে দেওয়া হয় মেসার্স জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ শেষ হয় ৮ আগস্ট ২০২৩ সালে। এই কাজের সমাপ্তি শেষে ১২ কোটি টাকা উত্তলন করে মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সিসিকের এইরকম প্রকল্প আছে কাগজে বাস্তবে এইরকম প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব নেই।
দেখা যায়, মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন টোল প্লাজার দরপত্র আহ্বানে তারা অংশগ্রহন করছেন এবং মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা হিসেবে সিসিকের রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিড টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশনের প্রকল্প বাস্তবায়নের সার্টিফিকেট প্রদান করছে।
সম্প্রতি সিলেট রোডস এন্ড হাইওয়ের টোল প্লাজার দরপত্র আহ্বান করলে সেখানে মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট হিসেবে সিসিকের সেই অদৃশ্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাগজপত্র জমাদেন কিন্তু রোডস এন্ড হাইওয়ের সন্দেহ হলে মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সিসিকের রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিড টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশন বাস্তবায়ন করেছে কি-না জানতে চেয়ে সিসিকের কাছে চিঠি প্রদান করে।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে রোডস এন্ড হাইওয়েকে বলেন মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিড টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশন প্রকল্পটি ১ জুন থেকে ১০ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত কার্যকাল সম্পাদন করিয়া ১২ কোটি টাকার বিল উত্তলন করেছে। বাস্তবে মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিসিকের রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিড টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশন এই ধরনের কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করে নাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট কেন্দ্রীয় বাস ও ট্রাক টার্মিনালে কোনো ওয়েট স্কেল ও কোনো কম্পিউটারাইজ টোল প্লাজা নেইবাস ও ট্রাকের অনেক শ্রমিক নেতারা জানান কেন্দ্রীয় বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মানের পর থেকে কোনো টোল প্লাজা বা ওয়েট স্কেল সিস্টেম নেই। সিসিকের রিয়েল টাইম কাস্টমাইজড সফটওয়্যার বেসিড টোল কালেকশন এন্ড ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ।
যেখানে কোনো প্রকল্পই নেই সেখানে বাস্তবায়ন কিভাবে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেয় যে কম্পিউটারাইজ ও ওয়েট স্কেল সিস্টেম অপারেশন করতে ১২ কোটি টাকা খরচ করলে সিসিকের অনেক লাভ হবে।
মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তারা নিজের থেকেই কিছু কাজ করেছে আমরা সিসিক থেকে কোনো টাকা দেই নাই।
সূত্রমতে, মেসার্স মো জামিল ইকবাল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রোপ্রাটর মো জামিল ইকবালের সাথে যোগসাজশে নুর আজিজুর রহমান এই ভুয়া অদৃশ্য প্রকল্প সাজিয়ে ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিসিকের অনেক প্রকল্প হাতিয়ে নিতেন জামিল ইকবাল এবং তার ছত্রছায়ায় কাজ পাইয়ে দিতেন প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। সিটি কর্পোরেশনর আওয়ামী ডেভিলদের রক্ষার জন্য নুর আজিজুর রহমান এখনো গোপনে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, মেসার্স মো জামিল ইকবাল কাল্পনিক অদৃশ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত সনদ পত্র দাখিল করে বিভিন্ন টোল প্লাজার ইজারা নিতে চেষ্টা চালাছেন।
Leave a Reply