ফকির হাসান, ক্রাইম রিপোর্টার: সুনামগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তর উপজেলা হিসেবে আখ্যায়িত ছাতক সেই অতীতকাল থেকেই। সেই ছাতক উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি আবাসিক ও বানিজ্যিক এলাকা হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জ।
সাম্প্রতিক সময়ে গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টের পূর্ব পাড় ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের আওতাধীন ৩নং ওয়ার্ডের “লালপুলের মুখ” যেন মাদকের একটি স্পটবেইজ হিসেবে রূপ নিয়েছে এবং মাদকের সাথে দেদারসে চলছে জুয়াসহ ওপেন গাঁজার আসর।
এ নিয়ে চরম হতাশা ও দুশ্চিন্তায় ভুগছেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের অভিবাবকসহ ওই এলাকার সচেতন মহল। প্রকাশ্যে হাতের নাগালেই যেহারে সেখানে মিলছে মাদক এতে করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্ররা মাদকে ঝুঁকার আশংকাও করছেন অভিভাবকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোকজন প্রতিবেদককে বলেন, সংঘবদ্ধ একটি চক্র লাল পুলের মুখে জমজমাট জুয়া ও মাদকের হাট বসিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তা পরিচালনা করে আসলেও আইন শৃংখলা বাহীনি মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান করেন।
এতে অদৃশ্য কারণে জুয়াড়ী কিংবা মাদক বিক্রেতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে শুনেছি আমাদের ছাতক থানায় ভালো একজন ওসি এসেছেন। উনাকে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসব বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে উনার প্রতি আশু হস্তে কামনা করছি আমরা।
বিগত সময়ে এলাকাবাসী কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও প্রতিরোধের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেননি। সেই সাথে আশেপাশের স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াতে জুয়াড়ী আর মাদক ব্যবসায়ী ধারা লাঞ্চনা-বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply