গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা: গোয়াইনঘাটে মসজিদের ভূমি জোর দখল করে নিলেন ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নজরুল ইসলাম।
সরজমিন পরিদর্শন করে জানাগেছে মাষ্টার নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি জামে মসজিদের পরিচলনা কমিটির সভাপতি হন। এরপর থেকে নজরুল ইসলাম ও তার আপন ভাই জিয়াউল ইসলাম, মিছবাহউল ইসলাম, ও তার চাচাত ভাই ফরিদ, আরিফ মসজিদের টাকা পয়সা, ফল, সবজি, মাছ ও জমি নিলাম নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া মসজিদের ভুমির ৩/৪ টি দাগের সাথে তাদের মালিকানা ভুমি থাকায় প্রতিটি ভুমির দাগ থেকে ৭/৮ শতক ভুমি তার জোরপূর্বক তাদের জমির সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করে ভোগ করে আসছেন। গ্রামবাসী এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মামলা হামলার ভয় দেকানো হত।
এদিকে বিগত ২০-৬-২৫ ইং তারিখে গ্রামবাসী বসে পঅবৈধ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করেন। এদিকে গত ২৯-০৬-২৫ ইং তারিখে গ্রামবাসী মসজিদ কমিটির লোকজন মসজিদের ভুমি সার্ভে (জরিপ) কারার জন্য সময় নির্দারণ করেন। ঐ দিন বিকেলে সার্ভেযার ও গ্রামের লোকজন ভুমিতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলের বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। এসময় গ্রামবাসী আইনের প্রতি শ্রদ্দা জানিয়ে ভুমি জরিপ না করে চলে আছেন এবং গোয়াইনঘাট থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে আরও ৫/৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই মহরম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বলেন বিষয়টি তদন্তাধীন আছে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নজরুল ইসলাম’র সাথে কথা হলে তিনি তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদককে জানান- মসজিদের জমিরে পাশে আমারও জমি রয়েছে, এখানে মসজিদের কোন জমি আমি দখল করিনি। মসজিদ কমিটির কিছু মানুষ তাদের মনগড়া তারিখ করে জরিপ করে আমার জমিকে মসজিদের জমি দাবি করে।
তিনি বলেন- তৃতীয় পক্ষ শালিসের মাধ্যমে যদি জমি জরিপ করা হয় তাহলে মসজিদ ও আমার জমির সটিক সীমানা নির্নয় হবে।
Leave a Reply