নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়রানিমূলক মামলার কারণে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজারো নেতাকর্মী ছিলেন ঘরছাড়া। একজনের নামে শতাধিক মামলা—এমন নেতাকর্মীও অনেক। এসব মিথ্যা মামলার কারণে সরকারি চাকরি হয়নি অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীর। গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক কারণে করা এসব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইন গ্রামের সাইফুল আলমের পুত্র ও গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুয়েল রানা প্রায় জর্জরিত একের পর এক মিথ্যা মামলায়। তিনি দুর্দিনে দলের কল্যাণে কাজ করায় আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার, মামলা-হামলায় জর্জরিত হলেও পিছুহাটেন নি তিনি। তবে দলের সুদিনে দলের কিছু সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীর ধারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দলের কিছু সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীর যোগসাজশে তাকে গোয়াইনঘাট থানার মামলা নং- ৩৪৬/২৪ এ আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ প্রকাশ।
এসব বিষয়ে আওয়ামী সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার, মামলা-হামলায় জর্জরিত ছাত্রদল নেতা জুয়েল রানা জানান- ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, ধর্ষণ মামলার আসামি, অছাত্র এবং বিতর্কিত কিছু হাইব্রিডরা আমাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একের পর মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমি জানি না কবে তাদের হয়রানি থেকে আমি মুক্তি পাবো। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বিগত দিনে আমি রাজপথে সক্রিয় ছিলাম আমি সহ আমাদের এ কমিটির নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও দলের হাইকমান্ডের নির্দেশানক্রমে আমি ২৮ অক্টোবরের পর থেকে আন্দোলন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা পালন করেছি এমনকি দলের এমন কোন মিছিল কিংবা মিটিং বাদ নেই যেখানে আমার উপস্থিতি ছিলো না তবুও আজ আমাকে দফায় দফায় হামলা-মামলায় জর্জরিত করছে একটি কুচক্রীমহল।
Leave a Reply