গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

বুধবার, ৩০ Jul ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
সিন্ডিকেটে জিম্মি যশোর ভ্যাট কমিশনারেট, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার! দশ মাসে বন্ধ ৪১ কারখানা, ধস নেমেছে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বাসা ভাড়ায় গোয়াইনঘাটে লেবাসধারী নছিব মোল্লার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ অপরাধ দমনে সাহসী ভূমিকা রাখছেন ওসি তৌহিদুল ইসলাম ছাতক এলজিইডি প্রকৌশলী’র বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উত্তরায় ফাইটার জেট বিধ্বস্ত মাইলস্টোন স্কুল সংলগ্ন মাঠে ভয়াবহ বিস্ফোরণ আহত বহু ১২ মিনিটে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: আহত ১৬৪, নিহত ১৯ ছাতকে চিকিৎসক সংকটে পুঁজি, নীপা ফার্মেসি মালিকের সিন্ডিকেট ইউপি সদস্যের ঘরে দুই হতদরিদ্রের বরাদ্দের চাল 
গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ

গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ

☆অভিযোগের তীর ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের দিকে

অভিযোগের তীর ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের দিকে!

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের খুর্দ্দা মর্জাতপুর শাহী ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত রয়েছে চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঈদগাহ মাঠ ভরাটের জন্য ৭ টন ঘম বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ বাস্তবে হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তারা অভিযোগ করছেন, কোনো ধরনের কাজ না করেই ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন একই এলাকার ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রকৃতপক্ষে সরকারি কোনো কাজ হয়নি। বরং গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের অর্থ, শ্রম ও চাঁদা দিয়ে ঈদগাহ মাঠ ভরাট করেছেন। কিন্তু এই উদ্যোগকে সরকারিভাবে “সম্পন্ন প্রকল্প” হিসেবে দেখিয়ে পুরো বরাদ্দের বিল উত্তোলন করেছেন ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন।

স্থানীয় এক যুবক বলেন “আমরা নিজেরাই কালেকশন ঈদগাহ এর কাজ শুরু করেছি,। কিন্তু এখন শুনছি সরকার থেকে নাকি দুই লাখ টাকা এসেছিল। সেই টাকার কোনো হিসাব নেই, কোনো ব্যাখ্যা নেই।”

এক প্রবীণ মুরব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই ঈদগাহে আমরা নামাজ পড়ি, দোয়া করি। এই পবিত্র জায়গার নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ টাকা তুলে নেয় এটা শুধু অন্যায় না, পাপও বটে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি সরকারি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দ প্রস্তাবিত হয় এবং ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন এর বাস্তবায়নকারী হিসেবে নাম দেন। কিন্তু মাঠ পরিদর্শনে কোনো ধরনের সরকারি কার্যক্রমের প্রমাণ মেলেনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের বলেন আমি এই বরাদ্দের শতভাগ কাজ করেছি, কোন দুর্নীতি করিনি।

গোয়াইনঘাট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্ককর্তা বাধন কান্তি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে আলিম উদ্দিন বিল নিয়ছেন, কিন্তু গ্রামের অনেকেরই অভিযোগ এই বরাদ্দের টাকা ঈদগাহ কমিটির কাছে পৌছেনি, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। এবং ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে বরাদ্দের টাকা যেভাবে পৌছে সেই ব্যবস্হা করবো।

এদিকে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং অর্থ আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo
error: Content is protected !!