চাপ সামলাতে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিমা গড়ছেন কুড়িগ্রামের নারী শিল্পীরা | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: প্রভাবশালীরা ছাড়া, গরিব নারী আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ। ব্রহ্মপুত্রে ভাঙনে বিলীন বিদ্যালয়: টিনের এক ঘরে চলছে ছয় শ্রেণির ক্লাস সিলেটে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও টিলা কাটছেন শাবিপ্রবির কর্মচারী করিম রৌমারীতে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ২ সন্তানের জনক/জননী ভাঙ্গুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার, নিলামে বিক্রয় প্রেসক্লাব পাবনার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শফিক গ্রুপের চেয়ারম্যানের মতবিনিময় রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন ভারতীয় মদ- ৯ বোতল এবং ১৩৫০০ টাকা ভারতীয় ঔষধসহ আটক। রাস্তার পাশের গাছ কেটে বসানো হচ্ছে পাইপ রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীসহ মাদকদ্রব্য আটক করা প্রসঙ্গে নাসিরনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মারজান খানের শুভেচ্ছা
চাপ সামলাতে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিমা গড়ছেন কুড়িগ্রামের নারী শিল্পীরা

চাপ সামলাতে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিমা গড়ছেন কুড়িগ্রামের নারী শিল্পীরা

Manual6 Ad Code

আসাদুজ্জামান,প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: 

Manual5 Ad Code

ভোরে উঠে রান্না আর সংসারের কাজ সামলিয়েই কুড়িগ্রামের নারীরা হাত লাগাচ্ছেন প্রতিমা গড়ায়। এ বছর দুর্গোৎসবে জেলায় প্রতিমার চাহিদা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে প্রতিমাশিল্পী পুরুষদের পাশাপাশি ঘরের নারী সদস্যরাও নেমেছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। তাদের হাতে চলছে প্রতিমার কাঠামো গড়া থেকে শুরু করে রঙ, অলংকার, শাড়ির কাজ সবই।
জেলার বিভিন্ন কুমোরপাড়া ও পালপাড়ায় প্রথমবারের মতো এমন ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে। আগে পুরুষরাই এ শিল্পের প্রধান কারিগর ছিলেন। কিন্তু এবার চাপ সামলাতে নারীরাও গৃহস্থালির কাজ ফেলে দাঁড়িয়েছেন কর্মশালায়।
রাজারহাট উপজেলার বৈদ্যের বাজার গ্রামের বেবী মালাকর বলেন, ‘এবার গতবারের চেয়ে দ্বিগুণ প্রতিমার অর্ডার এসেছে। সংসারের কাজ ফেলে স্বামীকে সাহায্য করছি।’
শুধু গৃহবধূ নয়, কিশোরী মেয়েরাও শিখে নিচ্ছে প্রতিমা গড়ার কাজ। বৈদ্যের বাজার গ্রামের শিক্ষার্থী সপ্তমী মালাকর বলেন, ‘বাবা একা এত কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে। গতবার আমরা সাতটা প্রতিমা বানালেও এবার অর্ডার এসেছে পনেরোটা। তাই আমিও মাটি গড়তে, কাঠামো বাঁধতে শিখছি। বাবাকে সাহায্য করছি।’
অন্যদিকে বংশ পরম্পরায় প্রতিমা শিল্পী কালিকান্ত পাল বললেন, ‘সারা বছর আমরা মাটির হাঁড়ি-পাতিল তৈরি করে সংসার চালাই। দুর্গাপূজার সময়ই আসে বড় অর্ডার, তখনই একটু স্বস্তি মেলে। গতবার আটটা প্রতিমা বানিয়েছি, এবার অর্ডার এসেছে চৌদ্দটার। একা হাতে সম্ভব নয়, তাই ঘরের মেয়ে-বউরা কাজে লেগে পড়েছে। তাদের সাহায্য না পেলে এত কাজ শেষ করা যেত না।’
কুড়িগ্রাম পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এ বছর ৫১৭টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব হবে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২টি বেশি। সদর উপজেলায় ৫৫টি, রাজারহাটে ১৩১টি, উলিপুরে ১২৫টি ও ফুলবাড়ীতে ৬৫টি মণ্ডপে পূজা হবে। পূজার সংখ্যা বাড়ায় প্রতিমার চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রতিমা চৌধুরী জানান, পুরুষরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই নারীরা সংসারের কাজ শুরু করেন। কিন্তু সমাজে তাঁদের শ্রমের মূল্যায়ন হয় না, কারণ এসব কাজ সরাসরি অর্থ উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এবারের প্রতিমা শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ সরাসরি আয়-রোজগারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বিষয়টিকে মহিলা পরিষদ ইতিবাচকভাবে দেখছে। তিনি বলেন, নারী–পুরুষের হাত ধরে এবারের প্রতিমা যেন নতুন রূপ পাক। নারীরা ন্যায্য মজুরি ও সম্মান পাক- এই প্রত্যাশা করি।
আসাদুজ্জামান, জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
০১৭১৮৬৮৫৪০৮

Manual7 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code
error: Content is protected !!