তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)’র দপ্তরে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরাবরে ১৫ ঠিকাদারের যৌথ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়। আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগের অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টাসহ একাধিক দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.রফিকুল ইসলাম ঠিকাদারদের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিল নিতে হলে প্রত্যেককে ঘুষ দিতে বাধ্য করেন। গত ৬ মার্চ জিপিএস স্কুলের বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উপজেলা প্রকৌশলী ঘুষের ২% টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারদের বিল প্রদান করেন না। বরাদ্দের টাকা ঠিকাদারদের সঠিক সময়ে প্রদান না করে ২ মাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত করেন। যার ফলে ঠিকাদারদের কাজে বরাদ্দ প্রাপ্তি ও সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন না তারা।
উক্ত প্রকৌশলী ঘুষ বানিজ্য করার জন্য এসডিআইআরআইআইপি-৩ প্রকল্পে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় সিংহ’কে ব্যবহার করেন। সেই সুবাদে প্রজেক্টে কর্মরত সঞ্জয় সিংহ লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে কিছুদিন পূর্বে ওই উপ-সহকারী প্রকৌশলী তার সিল ব্যবহার না করে সরকারী স্টাফ পরিচয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সহায়তায় কটিরমা খাল আরসিসি রাস্তা ও জাতুয়া পালপুর রাস্তার সিকিউরিটি প্রদান করে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের পাশাপাশি জিওবি স্টাফদের সকল কাজ হতে অব্যাহতি প্রজেক্টের লোক দিয়ে রমরমা ঘুষ বানিজ্য করছেন। এছাড়াও তিনি সব সময় বিভিন্ন ঠিকাদারের চলমান কাজ দেখতে গিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া বাবদ ২/৩ হাজার টাকা নিচ্ছেন।
সিসা কারখানায় অভিযান, ৬ জনের কারাদণ্ড ঠিকাদারদের দাবি, এই দপ্তরের সুনাম রক্ষার্থে উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্পে কর্মরত উপ-সহকারী প্রকৌশলী সঞ্জয় সিংহ’কে দ্রুত অপসারন পূর্বক যোগ্য প্রকৌশলী প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেনের ব্যবহৃত সেলফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো.রফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়ে বলেন, রড ছাড়া ঢালাই, পূর্ণাঙ্গ কাজ না করেই বিল উত্তোলন করতে চান ঠিকাদারগণ। মুল কথা হলো, ঠিকাদারদের কথা শুনলেই ভালো, না শুনলেই খারাপ। বেশ কিছু ঠিকাদারের কাজের গাফিলতি-অনিয়মের প্রমান রয়েছে।
Leave a Reply