এনামুল হক বড়াইগ্রাম (নাটোর):
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালুর দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বড়াইগ্রাম উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল জনসভা শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ২০২৫) জুমার নামাজের পর বনপাড়া এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ—দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়কসংলগ্ন বিশাল মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জনসভার পুরো এলাকা ছিল শৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভরপুর।
প্রধান অতিথির প্রতিশ্রুতি: দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “আমরা জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, দুর্নীতি ও বেকারত্বমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছি। বাংলাদেশের মানুষকে একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়া আমাদের অঙ্গীকার।”
তিনি আরও বলেন, “নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের জনগণ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাদের এই আদর্শিক যাত্রায় অংশ নেবেন—এই প্রত্যাশা করছি। আমরা ইসলামী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে অমুসলিম নাগরিকরাও শতভাগ নিরাপত্তা ও সমান অধিকার ভোগ করবেন।”
প্রার্থীর ঘোষণা: কর্মসংস্থান ও দুর্নীতিমুক্ত আসন গড়ার অঙ্গীকার
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী আব্দুল হাকিম।
তিনি বলেন, “আমরা আমীরে জামায়াতের নির্দেশ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিই না। ইনশাআল্লাহ, আমি বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুরকে দুর্নীতিমুক্ত আসন হিসেবে গড়ে তুলব।”
এছাড়া তিনি স্থানীয় তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের অঙ্গীকার করেন।
পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা ও স্বস্তি
জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হওয়ায় বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ প্রশাসন সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম সারওয়ার বলেন,
“আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম জামায়াত একটি শান্তিপূর্ণ সভা উপহার দেবে, এবং তারা সত্যিই সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে, যা প্রশংসনীয়।”
তিনি আরও জানান, বনপাড়া এলাকার চারদিকমুখী গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আয়োজকদের সহযোগিতা ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার কারণে কোনো বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি, সবকিছু ছিল নিয়ন্ত্রণে।
শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি ও শুকরিয়া জ্ঞাপন
সুশৃঙ্খলভাবে জনসভা শেষ হওয়ায় আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার জন্য আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
Leave a Reply