মো: দোয়েল আহমেদ: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে জোর আলোচনায় রয়েছেন বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক যুবদল নেতা অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রেরিত প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায়ও তার নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানান, এবার দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে এমন প্রার্থীদের—যাদের তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয়তা রয়েছে, যারা কর্মীবান্ধব, সাংগঠনিকভাবে দক্ষ, উন্নয়নচিন্তায় অগ্রগামী এবং মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ান।
এই মানদণ্ডের প্রায় সবগুলো গুণই বর্তমান রাজনীতিতে ধারণ করে চলেছেন অধ্যাপক কামাল হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাগমারার প্রতিটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রেখে বিএনপির আদর্শ তৃণমূলে পৌঁছে দিচ্ছেন। দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি তিনি নিজস্ব উদ্যোগে সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত রয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অধ্যাপক কামাল হোসেনের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ইতোমধ্যেই বাগমারায় তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই তার প্রচারণা তীব্রতর হচ্ছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা জুড়ে গণসংযোগ, পথসভা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি জনগণের মাঝে তুলে ধরছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, অধ্যাপক কামাল হোসেন একজন নির্লোভ, জনবান্ধব ও ত্যাগী নেতা। তিনি দলের অভ্যন্তরে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মতে, এমন একজন পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় নেতাকে মনোনয়ন দিলে বাগমারায় শুধু উন্নয়নই নয়, দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব হবে।
বাগমারার রাজনীতিতে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে—ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে অধ্যাপক কামাল হোসেনের নাম ঘোষণার দিন কবে?
Leave a Reply