ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: প্রভাবশালীরা ছাড়া, গরিব নারী আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ। | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০২ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: প্রভাবশালীরা ছাড়া, গরিব নারী আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ। ব্রহ্মপুত্রে ভাঙনে বিলীন বিদ্যালয়: টিনের এক ঘরে চলছে ছয় শ্রেণির ক্লাস সিলেটে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও টিলা কাটছেন শাবিপ্রবির কর্মচারী করিম রৌমারীতে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক ২ সন্তানের জনক/জননী ভাঙ্গুড়ায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল উদ্ধার, নিলামে বিক্রয় প্রেসক্লাব পাবনার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শফিক গ্রুপের চেয়ারম্যানের মতবিনিময় রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন ভারতীয় মদ- ৯ বোতল এবং ১৩৫০০ টাকা ভারতীয় ঔষধসহ আটক। রাস্তার পাশের গাছ কেটে বসানো হচ্ছে পাইপ রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীসহ মাদকদ্রব্য আটক করা প্রসঙ্গে নাসিরনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মারজান খানের শুভেচ্ছা
ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: প্রভাবশালীরা ছাড়া, গরিব নারী আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ।

ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: প্রভাবশালীরা ছাড়া, গরিব নারী আটক এবং জেল হাজতে প্রেরণ।

Manual5 Ad Code

মোঃ সুজন আহম্মেদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত এক যুবক ও যুবতীকে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেন। কিন্তু মাত্র আট ঘণ্টার মাথায় প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানরা রহস্যজনকভাবে ছাড়া পেয়ে যায়। অথচ একই ঘটনায় আটক হওয়া এক গরিব রাজমিস্ত্রির স্ত্রীকে আটকে রেখেই চলে হয়রানি। এই বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পুলিশ কি তবে টাকার কাছে নতি স্বীকার করেছে? বুধবার (১ অক্টোবর) বিকেলে ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার শরৎনগরের কেজি স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২২) দীর্ঘদিন ধরে এক যুবতীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। এদিন তারা স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয়রা তাদের হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শুধু যুবক-যুবতীকেই নয়, বাড়ির মালিকের স্ত্রী মায়া বেগমকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পরে রাত নামতেই নাটকীয় পালাবদল ঘটে। আট ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত যুবক-যুবতী ছাড়া পেয়ে যায়। অথচ অসহায় নারী মায়া বেগমকে আটকে রাখে পুলিশ।

অসহায় স্বামী রাজমিস্ত্রি সিরাজুল ইসলাম বলেন, যাদের টাকা পয়সা আছে, ক্ষমতা আছে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু আমার টাকা-পয়সা নেই বলেই আমার স্ত্রীকে ছাড়লো না পুলিশ।

Manual1 Ad Code

এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়ার সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন আইন কি কেবল প্রভাবশালী ও টাকার মানুষদের জন্য? গরিবদের কি কোনো ন্যায়বিচার নেই?

Manual8 Ad Code

স্থানীয়দের মতে, পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমাজে ভুল বার্তা দিচ্ছে। অপরাধীরা প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে, অথচ নিরীহ মানুষরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।

Manual8 Ad Code

প্রবীণ এক ব্যক্তি বলেন, এভাবে যদি টাকা বা ক্ষমতার কাছে আইন হার মানে, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? এই দেশে গরিবদের কি আর কোনো অধিকার নেই?

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, আমরা তাদের থানায় নিয়ে এসেছিলাম। পরে পারিবারিকভাবে সমাধান হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এবং বাড়িওয়ালা মায়া বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

কিন্তু ওসির এ বক্তব্যে সচেতন মহল সন্তুষ্ট নন। তাদের প্রশ্ন যদি সমঝোতা হয়ে থাকে, তাহলে কেন মায়া বেগমকে কেন জেল হাজতে প্রেরণ করা হলো?

Manual7 Ad Code

ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গুড়ার এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া জরুরি। প্রভাবশালী অভিযুক্তদের মুক্তি ও গরিব নারীর আটক এই বৈষম্যের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code
error: Content is protected !!