তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: সিলেটে কুখ্যাত ডেভিলদের অন্যতম কামরান। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ৯ ওয়ার্ডের আওয়ামী কাউন্সলর মখলিছুর রহমান কামরান। ছিলেন সিসিক’র ভারপ্রাপ্ত মেয়রও। ২০২৪ এর ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের অনেক মেয়র, কাউন্সিলর গ্রেফতার হয়েছেন। অনেক পালিয়ে আত্মগেপনে গেলেও কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান নিজ বাড়িতে রাজার হালে রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিলট নগরের মদিনা মার্কেট ও আখালিয়া এলাকায় প্রকাশ্যে ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কামরান। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও দমন-নিপীড়নে।
তার বিরুদ্ধে জুলাই- আগস্ট আন্দোলনের বেশ কয়েকটি মামলা হলেও কামরা প্রশাসনের নাকের ডগায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সূত্রে জানা যায়, মখলিছুর রহমান কামরানের ভাই বিএনপির রাজনীতি করায় তিনি রয়েছেন সম্পূর্ণ ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশজুড়ে ডেভিল হান্ট শুরু হলেও কামরানের বাড়িতে এখনও অভিযান হয় নি,এর কারন উনার ভাই বিএনপির রাজনীতি করেন এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছেন।
কাউন্সিলর হওয়ার পর অবৈধ পন্থায় বিপুল অর্থ কামিয়েছেন কামরান। সিলেটের মদিনা মার্কেট ও আখালি এলাকায়ই ২টি মার্কেট সহ বিরাট গরুর ফার্ম রয়েছে কামরানের।
টাকা ছাড়া জনগনের সামান্যতম কাজ করেননি কামরান, অবৈধ টাকা কামানোই ছিল তার পেশা এবং নেশা।
গত ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে মিছিল করায় ৯নং ওয়ার্ডের সদ্য বহিষ্কৃত কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা মখলিছুর রহমান কামরান এর নেতৃত্বে পুলিশ-র্যাব, সোয়াট ও বিজিবি নিয়ে পাঠানটুলা এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালান।
বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীদের বাসা লক্ষ্য করে ২শ রাউন্ডের বেশি টিয়ারশেল , সাউন্ড গেনেড রাবার বুলেট দিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি করেছিলেন এবং সেই দিন অনেক নেতা কর্মী আহত হয়েছিলেন!
Leave a Reply