মোঃ জামাল উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার সিলেট:
– আব্দুল করিম, অফিস এটেনডেন্ট পদে চাকরি করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবির) গনিত বিভাগে। চাকরির সুবাদে টিলা শ্রেনীর ৪ শতক জায়গা ক্রয় করেন সিলেট নগরীর ৩৭ নং ওয়ার্ড যুগী পাড়ার ফার্মের টিলায়।
করিমের ক্রয় করা জায়গাটি রেকর্ডীয় টিলা শ্রেণির হওয়ায়, প্লট বের করার জন্য অবৈধভাবে টিলা কেটে মাটি অন্যত্র সরানো শুরু করেন। পরিবেশগত ক্ষতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলেও, করিম সেটি উপেক্ষা করে টিলা কেটে প্লট বের করছেন।
সরেজমিন গত (৮ সেপ্টেম্বর) আখালিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন কুমারগাঁও মৌজার এসএ ১২০৩ নং খতিয়ানের ২৪৫৩ নং দাগে গিয়ে টিলা কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় করিম নিজেও সেখানে ছিলেন। কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে তিনি টিলা কাটা অংশে বাউন্ডারির দেয়াল নির্মাণ করাচ্ছিলেন। করিমের দাবি তিনি টিলা কাটেন নি, টিলার মালিক আব্দুল শহিদ চৌধুরীর কাছ থেকে ৪ শতক জায়গা কিনেছেন। এক মাস আগে দলিল রেজিস্ট্রি করে এখন বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের কাজ করছেন। তার প্লটের টিলা অংশের মাটি তাহলে কে কেটেছে জানতে চাইলে? দাম্ভিকতায় পাশে পুলিশ সদস্যর প্লট ভরাট করা হয়েছে দেখিয়ে দেন এবং বিষয় টা এক তহশিলদারও জানেন বলে জানান।
গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) পুনরায় টিলা কাটার স্থানটি সরেজমিন দেখতে গিয়ে নতুন করে আবার টিলা কাটা পরিলক্ষিত করা গেছে, যুগী পাড়ার স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ফার্মের টিলার মালিক শহিদ লন্ডনী, বিভিন্ন লোকজন শহিদ লন্ডনীর কাছ থেকে জায়গা কিনে টিলা কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাইজুল কবির জানান, অবৈধভাবে পাহাড় টিলা কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে, শাবিপ্রবির কর্মচারী কর্তৃক অবৈধভাবে টিলা কাটার বিষয়টি জানা নেই। প্রতিবেদকের মাধ্যমে যেহেতু জানতে পেরেছেন সেক্ষেত্রে টিলা কাটার স্থানটি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রতিবেদককে আশ্বাস প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় সম্প্রতি অবৈধভাবে পাহাড় ও টিলা কাটার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায়, পাহাড় ও টিলা কাটার উপর জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম গত (৯ সেপ্টেম্বর) একটি অফিস আদেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
Leave a Reply