তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ-সহ এলাকায় ধবংসলীলা চালিয়ে যওয়ার অভিযোগে সিলেটের সুরমা নদী (নওয়াগাঁও) নালুমহালের ইজারা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৪ জুন) সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জামানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান- মেম্বারসহ এলাকার ৮৫ জন এ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।
স্মারকলিপি সহ স্থানীয় সূত্র জানা গেছে- সিলেট জেলার সুরমা নদী (নওয়াগাঁও) বালু মহালটি মাত্র মাত্র ২.৪৫ একর নিয়ে গঠিত। এর পাশেই রয়েছে তিন উপজলা (কানাইঘাট,জকিগন্জ ও বিয়ানী বাজার) সংলগ্ন ইজারা অযোগ্য আরো ২টি বালুমহাল যে দুটির আয়তন প্রায় ৫৪ একর। মাত্র সোয়া দুইএকরের নওয়াগাঁও বালু মহাল ইজারা দেওয়া হলেও বৃহৎ সেই দুটি মহাল ইজার দেওয়া হয়নি। আর এ সুযোগে নওয়াগাঁও বালুমহালের ইজারাদার মেসার্স আপ্তাব এম্পোরিয়াম এর তারেক মোঃ আব্দুল্লাহ বালু উত্তোলনের নামে সুরমা নদীর পূরো সাড়ে ৫৬ একর মহালে চালি যাচ্ছেন ধ্বংসাত্মক তান্ডব। দৈনিক ২০ থেকে ২৫ টি হাইড্রলিক ড্রেজার দিয়ে সুরমার উভয় তীর সংলগ্ন এলাকা থেকে তোলা হচ্ছ বালু ও মাটি।
ফলে সুরমার উভয় পারের তিন উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভয়াবহ নদীভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ধবংসের মুখে তিন উপজেলার সুরমা তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ। তাই দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষজন মেসার্স আপ্তাব এম্পোরিয়ামের নামে নওয়াগাও বালু মহালের ইজারা বাতিলসহ এলাকার জানমাল ও সহায় সম্বল রক্ষার জোর দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন কানাইঘাট উপজেলার বাণীগ্রা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান উদ্দিন, ইউপি মেম্বার আজমল হোসেন ও ইউপি মেম্বার এবাদুর রহমানসহ তিন উপজেলার সুরমা তীরের ৮৫ জন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা মঙ্গলবার (৪জুন) ১৪৫ নং ডকেটমূলে স্মারকলিপি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
Leave a Reply