এমরান হোসেন রিটন
কুমিল্লার হোমনায় ঐতিহাসিক জুলাই- আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে বিজয় র্যালির আয়োজন করা হয়। তবে দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এবারও পৃথকভাবে দুই গ্রুপ র্যালি করে, যা চৌরাস্তা এলাকায় সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল হক জহর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আজিজুর রহমান মোল্লা নেতৃত্বে হোমনা চৌরাস্তা থেকে একটি র্যালি উপজেলা পরিষদ হয়ে হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মঞ্চে সভা করে। র্যালিতে বিএনপির পদবঞ্চিত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন।
অপরদিকে, বেলা ১২ টার দিকে হোমনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মুকুলের নেতৃত্বে অপর গ্রুপের আরেকটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ র্যালিটি হোমনা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে বাজার হয়ে হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।মিছিলে উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের বর্তমান নেতৃবৃন্দ ও সমর্থকরা অংশ নেন। এতে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিএনপির বিভাগীয় সম্পাদক অধ্যক্ষ মো সেলিম ভূইয়া।
এ দিকে মো মহিউদ্দিন ও মুকুলের নেতৃত্বে বিএনপির বিজয় র্যালিটি হোমনা চৌরাস্তা এলাকায় অতিক্রম করার সময় উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পদবঞ্চিত গ্রুপের মিছিল থেকে ভূয়া ভূয়া স্লোগান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হোমনা থানা পুলিশ ও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
জানাগেছে, কমিটি গঠনের পর থেকেই পদবঞ্চিত গ্রুপ ও বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে। এমনকি কুমিল্লা -২ আসন পুন:বিন্যাসের পক্ষ বিপক্ষ অবলম্বন করে সভা সমাবেশে অংশ গ্রহন করতে দেখা যায়৷
এদিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মতো ঐতিহাসিক দিবসেও ঐক্যবদ্ধভাবে র্যালি না করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মিছিল করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
তবে র্যালি শেষে উভয় পক্ষই হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ২৪” এর গণঅভ্যুত্থান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন’ জোরদার করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Leave a Reply