অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ | তদন্ত রিপোর্ট

রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের দোরগোড়ায় অধ্যাপক কামাল হোসেন — বাগমারায় ৩১ দফা প্রচারে সরব বিএনপি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে টেকসই পরিকল্পিত উন্নয়ন অবকাঠানো নির্মাণের দাবি রাইট টক বাংলাদেশের। শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ লোহাগড়া উপজেলায় খাল থেকে মানুষের ক’ঙ্কা’ল উদ্ধার,, ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার  নযথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো নাচোলের রাণী ইলা মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল উপলক্ষে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের দুই নেতার শুভেচ্ছা ও প্রেরণার বার্তা “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বড়াইগ্রামে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ” নোঙর সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান এর ৫৯ তম জন্মদিন পালন করলো উত্তরণ পাবনা 
অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

Manual5 Ad Code

মোঃ সুজন আহম্মেদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি,

দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার থানাপাড়া খেলার মাঠে এন.এস ক্লাবের আয়োজনে লটারি–২০২৫ নামে একটি বৃহৎ লটারির আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, এই লটারি কোনো সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে, যা লটারি আইন ২০১২-এর ধারা ৫ ও ৬ অনুযায়ী স্পষ্টতই অবৈধ।

প্রতি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। আয়োজকরা মোট ১৫১টি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন— যার মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, সেলাই মেশিনসহ নানা আকর্ষণীয় পণ্য। টিকিটে উল্লেখ ছিল ১৬ অক্টোবর ড্র অনুষ্ঠিত হবে, তবে পরবর্তীতে তা পিছিয়ে ২০ অক্টোবর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব পুরস্কারের লোভে পড়ে অনেক সাধারণ মানুষ ধার–দেনা করে টিকিট কিনেছেন, যা তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লটারির ড্র ও পুরস্কার বিতরণে অস্বচ্ছতা ও প্রতারণার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, এ ধরনের অনুমোদনহীন লটারি শুধু মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনে না, বরং এটি জুয়া ও প্রতারণার এক রূপ, যা সমাজে অসাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা ও আর্থিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে।

Manual1 Ad Code

একজন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রতি বছরই এমন নামে–বেনামে লটারি হয়। প্রশাসন জানে, তবুও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। মানুষ টাকাপয়সা খরচ করে, শেষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ ও কঠোর ব্যবস্থা দাবি করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুমোদনহীন লটারির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ক্ষতি রোধ করা যায়।

এবিষয়ে অবৈধ লটারির আয়োজক এন.এস ক্লাবের কমিটির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন করে রিসিভ করেনি।

Manual8 Ad Code

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, লটারির বিষয়টি তদন্তের জন্য ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

Manual8 Ad Code

ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাকিউল আজম জানান, পূজার আগে আয়োজকরা অনুমতি চেয়েছিল, কিন্তু আমরা অনুমতি দিইনি। যদি তারা অবৈধভাবে লটারি পরিচালনা করে থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual8 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code
error: Content is protected !!