তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাক, কান, গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও হেড-নেক সার্জন ডাঃ ঋতুরাজ দেব এর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে।
ডাঃ ঋতুরাজ দেব সিলেট নগরীর মধুশহীদস্থ ট্রাস্ট মেডিকেল সার্ভিসে নিয়মিত রোগী দেখেন। সেই সুবাদে ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বেরারাই গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের ৬ বছরের শিশু কন্যা আনিয়া ফেরদৌসি নাজহা বেগম গলার সমস্যা নিয়ে ডাঃ ঋতুরাজ দেব এর শরণাপন্ন হন। পরে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন টনসিলের সমস্যা আছে জরুরি অপারেশন লাগবে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে রুগীর মা ও স্বজনরা অপারেশন করার জন্য রাজি হন। পরে ডাক্তারের পরামর্শে ১৬ সেপ্টেম্বর নগরীর দরগা গেইটস্থ আল-ফালাহ ক্লিনিকে ভর্তি হন।
একদিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর ডাঃ ঋতুরাজ সেখানে নাজহার অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর থেকে এই শিশু বাচ্চার শারীরিক অবস্থার দিকে যেতে থাকে। কিছুতেই শারীরিক অবস্থার আর উন্নতি হয়নি বরং খারাপের দিকে যেতে। পরে বাচ্চাকে নিয়ে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকাস্থ বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে দীর্ঘ ৩ মাস চিকিৎসা করে কোন উন্নতি হয়নি।
সর্বশেষ সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
শিশুর স্বজনরা চিকিৎসক ডাঃ ঋতুরাজ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে শান্ত থাকার কথা বলেন। এটা ইনফেকশন থেকে হয়েছে কিছু সময় লাগবে সুস্থ হতে। এছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই।
ডাঃ ঋতুরাজ দেব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
এদিকে শিশুর পিতা ওসমানীনগর উপজেলার বাসিন্দা প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম উনার শিশুকন্যার জন্য দোআ চেয়েন এবং ডাঃ ঋতুরাজ দেব এর শাস্তির দাবি চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন আমি একজন প্রবাসী আমার ফ্যামিলি থাকেন দেশে। বিগত ৩ মাস আগে আমার ছয় বছরের মেয়েকে সিলেটের নাক খান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ঋতুরাজ এর কাছে পাঠিয়েছিলাম আমার মেয়ের টনসিল এর চিকিৎসার জন্য।
ডাক্তার ঋতুরাজ বলছিলেন অপারেশন ছাড়া উপায় নাই। এর ডাক্তার আমার মেয়ের টনসিলের অপারেশন করেন। এরপর চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পরে আমার মেয়ে ৭-৮ রাব বমি করে এবং শরীরে প্রচন্ড জ্বর হয়। সাথে সাথে ডাক্তারকে জানানো হয়। কখন ডাক্তার ওই ক্লিনিকের স্টাফদের পাঠান উনারা বলছিলেন তেমন কিছু না। এমতাবস্থায় চার দিন পর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাচ্চার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।
তারপর ডাক্তার ঋতুরাজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন কমে যাবে। আমার পরিবারের সদস্যরা উনার কথা না শুনে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর উনারা বলছে আমার মেয়ের ব্রেইনে রক্ত জমে গেছে।
ঢাকার বিআরবি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইখানে ওর ব্রেইন অপারেশন করে ইনফেকশন বাহির করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে কথা বলতে পারছেনা। এমনকি শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হয় নাই অবস্থা আরো অবনীতির দিকে যাচ্ছে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করছি আপনারা আমার মেয়েটির জন্য দোয়া করবেন। সেই ডাক্তার ঋতুরাজ এর শাস্তি দাবি করছি।
Leave a Reply