তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে নিয়ে একটি মার্কিন সামরিক বিমান পাঞ্জাবে পৌঁছেছে। বুধবারের এ ঘটনায় দেখা যায় যে, ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের শিকলে হাত পা বেঁধে বিমানে ওঠানো হয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে দেখা যায়, টেক্সাস থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত দীর্ঘ ফ্লাইট চলাকালে তাদের হাত-পা বাঁধা ছিল কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী সংস্থা ইউএস বর্ডার পেট্রোল মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে অভিবাসীদের শিকলে বাঁধা অবস্থায় দেখা যায়।
সংস্থাটির প্রধান মাইকেল ডব্লিউ ব্যাংকস এক ভিডিও বার্তায় জানান, সামরিক বিমান ব্যবহার করে এটি সবচেয়ে দূরত্বে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ‘অভিবাসন আইন প্রয়োগে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। অবৈধ পথে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করবে, তাদের পরিণতি এভাবেই নির্ধারিত হবে।’
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ পরিবহন বিমানের পেছনের অংশ খোলা ছিল। প্রথমে সেখানে একটি বড় কার্গো প্রবেশ করানো হয়, এরপর শিকলে বাঁধা অভিবাসীদের বিমানে তোলা হয়। হাঁটতে অসুবিধা হওয়ায় তাদের চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়- যা ভিডিওতে স্পষ্ট। সাধারণত এই ধরনের ব্যবস্থা বড় অপরাধী বা যুদ্ধবন্দিদের পরিবহনের ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের অধিকাংশই দালালদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন এবং উন্নত জীবনের আশায় অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের কেউ পাঞ্জাবের বাসিন্দা, কেউ গুজরাটের, কেউ আবার মহারাষ্ট্রের।
ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এভাবেই নাকি অমৃতসর পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছিল জসপালদের। অমৃতসর বিমানবন্দরে নামার পর বাঁধন খোলা হয়। এরপর ভারতেও চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
এদিকে, ওই অবৈধ অভিবাসীরা অতীতে কোনো অপরাধমূলক কাজ করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের ভেতরে মোতায়েন ছিল পাঞ্জাব পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা। এভাবেই শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪ ভারতীয়র দেশে ফেরার দীর্ঘ যাত্রা।
সূত্র: এনডিটিভি, আনন্দবাজার
Leave a Reply