চোরাচালান বন্ধে এসএমপি সোচ্চার হলেও জেলা রহস্যজনক | তদন্ত রিপোর্ট

বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মোহনগঞ্জ বাজারের সুইচগেট মোড়ে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা—দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর সিলেটে ১৩ কোটি টাকার বালু ৩৮ লাখে বিক্রি জাফলং এএসআই রেজওয়ানকে ম্যানেজ করে বালু-পাথর হরিলুট রৌমারীতে লকডাউন বিরোধী কর্মকাণ্ডে তিনজন গ্রেফতার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গান পাউডার ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জামাদি সহ আটক ১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর- ভোলাহাট) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন আমিনুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত নাচোলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ ভাঙ্গুড়ায় জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
চোরাচালান বন্ধে এসএমপি সোচ্চার হলেও জেলা রহস্যজনক

চোরাচালান বন্ধে এসএমপি সোচ্চার হলেও জেলা রহস্যজনক

সিলেটে চোরাচালান বন্ধে এসএমপি সোচ্চার হলেও জেলা পুলিশ নিরব
সিলেটে চোরাচালান বন্ধে এসএমপি সোচ্চার হলেও জেলা পুলিশ নিরব

Manual6 Ad Code

তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারি পণ্যসামগ্রী আটকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও রহস্যজনক কারনে থানা পুলিশের অভিযান নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

Manual7 Ad Code

যদিও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এনিয়ে সোচ্চার থাকলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে সিলেট জেলা পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার পতনের পর চোরাকারবারীরা হাত বদলের মাধ্যমে জেলা পুলিশের আওতায় থাকা জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে নিয়ে আসছে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ ভারতীয় পণ্য।

বিজিবি’র নিয়মিত অভিযানের পরেও থামানো যাচ্ছেনা চোরাই পণ্যের সমারোহ। মালামাল জব্দ দেখানো হলেও শীর্ষ চোরাই মালিকরা আইনের বাহিরে।

অভিযোগ, ৫ আগষ্টের পর বিজিবি কর্তৃপক্ষ সীমান্ত এলাকায় অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে সোচ্চার থাকলেও জৈন্তা-গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ নীরব। বর্তমানে শীর্ষে অবস্থান করছে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।

জানা যায়, অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি ও পুলিশ সুপার দুজনেই নবাগত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে কৌশলগত দিক পালন করতে গিয়ে তারা নতুন সাজে থানাগুলোতে সার্কেল অফিসার এবং ওসি নিয়োগ দেন।

কিন্তু রহস্যজনক কারনে আজো দৃশ্যমান কোন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়নি জেলা পুলিশের আওতায় থাকা জৈন্তা, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে। মাসিক দুএকটি আইওয়াশ অভিযান চালিয়ে নিজেদের আসন বহাল রাখছে।

Manual5 Ad Code

এতে মাথা ব্যথা নেই সিলেট বিভাগীয় ও জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও। নামেমাত্র সভা সমাবেশের মধ্যেই আটকা পড়ছে এসব কীর্তি।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চোরাকারবারীদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে জৈন্তাপুর মডেল থানার আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল।

তাদের দাপুটে চোরাকারবারীরা ফের পুরনো চেহারা ফিরে পেয়েছে। আগেকার ওসি’দের মতো তারাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করছে কাড়ি কাড়ি টাকা। ভারতীয় পণ্যের মধ্যে অস্ত্র, মাদক ছাড়াও কসমেটিকস, চিনি ও গরু-মহিষ থেকেই প্রতিরাতে কামাই করছে প্রায় দশলক্ষ টাকা।

তাদের কবল থেকে মুক্তি মিলছেনা অবৈধ বালু পাথর উত্তোলনকারীরাও। অথচ অতি গোপনীয় এই চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে আনা খুবই দূরহ। কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একই দূরাবস্থা।

Manual7 Ad Code

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র কিছু কতিপয় সদস্যও এর ভাগবাটোয়ারা পেয়ে থাকেন। এই অসাধু কর্তারা প্রতিদিন রাতে এসব উপজেলা এলাকায় অভিযানের নামে গিয়ে চাঁদাবাজি তামাশায় মেতে ওঠেন। এ থেকে বাদ পড়েন না অনেক হলুদ চাঁদাবাজ সংবাদকর্মীরাও। চোরাইপথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ছয়নয় সংবাদ প্রকাশ করাই তাদের নিত্যদিনের কাজ। তবুও চাই চাঁদা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, জৈন্তাপুর মডেল থানা ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ এলাকার বেশিরভাগ ভারতীয় পণ্য যানবাহনযোগে সিলেট তামাবিল হাইওয়ে সড়ক ব্যবহার করে থাকে।

এসব পণ্য তাদের চোখে না পড়লেও নজর কাড়ে এসএমপি পুলিশের। কারন নবাগত এসএমপি পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম দায়িত্ব নেওয়ার পর এসএমপির আওতাধীন প্রত্যেক থানা-ফাঁড়ি পুলিশ ও মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’কে অপরাধ দমনে কঠোর নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনার পর নড়েচড়ে বসে এসএমপি পুলিশ সদস্যরা।

ইতিমধ্যেই চমক দেখিয়েছে শাহপরাণ (রহঃ) মাজার তদন্ত কেন্দ্র ফাঁড়ি পুলিশ। এর আগে কোনদিন এরকম চমক দেখাতে পারেনি শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশ।

Manual3 Ad Code

এসআই মোঃ সানাউল ইসলাম শাহপরাণ (রহঃ) মাজার তদন্ত কেন্দ্র ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জের দায়িত্ব পেলে পাল্টে যায় অপরাধী-চোরাকারবারীদের দাবার চাল। উল্টো তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করে কিভাবে বদলি করানো যায় সেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করে অপরাধীরা।

তার আপোষহীন নের্তৃত্ব চোখে পড়ার মতো। বসে নেই এসএমপির অন্যান্য থানা পুলিশও। শুধু অপরাধ দেখেছেনা জেলা পুলিশের সেই কথিত কিছু উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বস্তু নিষ্ট সংবাদ প্রকাশের পরেও এই অসাধু পুলিশ সদস্যরা থেকে যাচ্ছে বিশাল তবিয়তে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে গেলে জৈন্তা ও গোয়াইনঘাট থানার ওসিরা ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে অনূসন্ধ্যানকালে জৈন্তা-কানাইঘাট সার্কেল অফিসার এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে কোন তথ্য থাকলে আমাদেরকে জানাবেন আমরা অভিযান চালাবো।

তিনি এসময় উল্টো সংবাদকর্মীর সহযোগীতা কামনা করেন। তবে গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ সার্কেল অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মুঠোফোন রিসিভ হয়নি। পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে এতেও ফোন রিসিভ হয়নি।

সম্প্রতি অভিযোগ ওঠেছে, গোয়েন্দা সংস্থা সহযোগী সংগটনের কর্মকান্ড নিয়েও। কারন সীমান্তে যারা চোরাইকাজে জড়িত তাদের তালিকা প্রস্তুতি কতদূর টেকিয়েছে। বিজিবি’র অবিযানে ভারতীয় পণ্য উদ্ধার হলেও কেনও অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে।

এসব পণ্য নিলামে যথাযথ নিয়ম রক্ষা করা হচ্ছে কি না এছাড়া অভিযানের হিসেব-নিকেশ সেই সংস্থাগুলোর নজরে আছে কি না বিষয়টি সবাইকে ভাবাচ্ছে।

চাঁদাবাজ অসাধু কর্তাব্যক্তির ব্যাপারে কতটুকু তাদের নজর রয়েছে সেটাও অজানা। তবে স্থানীয়দের দাবি চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে অপারেশন ডেভিল হান্ট পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code
error: Content is protected !!