নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী ডেভিলকে লাইনম্যান বানিয়েছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশে ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। চোরাচালানী ও অবৈধ বালু-পাথরখেকোদের কাছ থেকে ওসি রোজানা আদায় করছেন লাখ লাখ টাকা।
অভিযোগে প্রকাশ, কোম্পানীগঞ্জ থানার সীমান্তঘেষা মাঝেরগাঁও মৃত ইউনুছ মিয়ার পুত্র ঘরজামাই শামীম মিয়া। একসময়ের সিএনজি অটোচালক শামীম মিয়া মাদক চোরাচালানীতে জড়িয়ে পড়ে। সিলেট এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হয়ে জেল খাটে বহুদিন। আওয়ামী ডেভিল শামীম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক পলাতক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ঘনিষ্টজন ছিল। প্রায়ই নাদেলের সিলট শহরস্থ বাসায় হাদিয়া-তোহফা নিয়ে যাতায়াত করতো। মূলত সে নাদেলের হয়েই কোম্পানীগঞ্জের বালু মহাল পাথর কোয়ারী ও চোরচালান নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রন করতো। বখরার ভাগ দিতো এবং এখনও দেয় থানার ওসিকেও।
গত বছর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর রাজনৈতিক ছড় পরিবর্তন করে বিএনপি সেজে যায় ডেভিল শামীম। স্থানীয় বিএনপি নেতা সেজে কোম্পানীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এর প্রধান লাইনম্যান হয়ে যায়। ওসির হশে মাদকসহ সবধরণের ভারতীয় পণ্য চোরাচালান এবং অবৈধ বালুপাথর এর চাঁদা ও বখরা উঠায় সে। ফলে থানার মাঝরগাঁও, বরমসিদ্ধিপুর, ভাটরাই, কালীবাড়ি, নয়াবস্তী, কামালবস্তী, তোরং প্রভৃতি পয়েন্ট দিয়ে পাহাড়ি ঢলের মত নিরাপদে নামছে মাদকসহ আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় সব পণ্য। বিভিন্ন পয়েন্টে নিযুক্ত রয়েছে প্রধান লাইনম্যান শামীমের অধঃস্তন লাইনম্যান।
শামীম শুধু চোরাচালানী চক্রের লাইনম্যান নয়, সে পাথরখেকো ও পাথর খেকোদেরও লাইনম্যান। ফলে কোম্পানীগঞ্জ থানার শারপিন টিলা, ভোলাগঞ্জ বাংকার, কালীবাড়ি, উৎমা, কালাইরাগ ধলাইসেতু প্রভৃতি এলাকায় রাতদিন তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে পাথরখেকো ও বালুখোকোরা। ধংসের মুখে কোম্পানীগঞ্জবাসীর স্বপ্নের ধলাইসেতু।
লাইনম্যান শামীম মিয়ার মাধ্যমে থানার বর্তমান ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান দৈনিক ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা বখরা পেয়ে থাকেন। ফলে রাতারাতি শতকোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ। পাশাপাশি লাইনম্যান শামীমও হয়ে গেছে কোটি কোটি টাকার মালিক।
লাইনম্যান শামীমের মাধ্যমে ম্যানেজ হওয়ায় চোরাচালানী ও বালু-পাথরখেকোদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান না ওসি উজায়ের ও তার পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট)সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের ওসি উজায়েরের সরকারি সেলফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগের ব্যাপার জনতে চাইলে শামীম মিয়া বলেন -ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানকে তিনি চিনেন না। ওসির সাথে কেনোদিন তার দেখাও হয়নি।
Leave a Reply