গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ | তদন্ত রিপোর্ট

সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
জ্ঞানমূলক কিছু কথা বললেন সাংবাদিক দোয়েল । মেন্দি পাড়া হাই স্কুল মাঠে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে উঠান বৈঠক, নেতৃত্বে অধ্যাপক কামাল হোসেন পুরোনো বিএনপি নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে শিমুল বিশ্বাসকে ঘিরে নির্বাচনী আলোচনা“পাবনা সোসাইটি”-এর উদ্যোগে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির অঙ্গীকার পাবনা ফরিদপুর ও সাঁথিয়ার যৌথ অভিযানে ৪০ লাখ টাকার চায়না দুয়ারি জাল ধ্বংস পাবনা বিটিসিএল অফিসে অনিয়ম–অবহেলা চাহিদা নেই দাবি করলেও কোটি টাকার সরকারি ব্যয়; সেবায় ভোগান্তি, পুনর্গঠনের দাবি পুকুরের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের মানুষ রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন ভারতীয় মদ-১৬ বোতল আটক। খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির লটারিতে প্রাপ্ত ডিলারশিপ বুঝে না পেয়ে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের দোরগোড়ায় অধ্যাপক কামাল হোসেন — বাগমারায় ৩১ দফা প্রচারে সরব বিএনপি
গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ

গোয়াইনঘাটে শাহী ঈদগাহের কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ

☆অভিযোগের তীর ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের দিকে

Manual8 Ad Code

অভিযোগের তীর ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের দিকে!

Manual4 Ad Code

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের খুর্দ্দা মর্জাতপুর শাহী ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত রয়েছে চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঈদগাহ মাঠ ভরাটের জন্য ৭ টন ঘম বরাদ্দ দেওয়া হলেও কাজ বাস্তবে হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Manual7 Ad Code

তারা অভিযোগ করছেন, কোনো ধরনের কাজ না করেই ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন একই এলাকার ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রকৃতপক্ষে সরকারি কোনো কাজ হয়নি। বরং গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের অর্থ, শ্রম ও চাঁদা দিয়ে ঈদগাহ মাঠ ভরাট করেছেন। কিন্তু এই উদ্যোগকে সরকারিভাবে “সম্পন্ন প্রকল্প” হিসেবে দেখিয়ে পুরো বরাদ্দের বিল উত্তোলন করেছেন ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন।

Manual8 Ad Code

স্থানীয় এক যুবক বলেন “আমরা নিজেরাই কালেকশন ঈদগাহ এর কাজ শুরু করেছি,। কিন্তু এখন শুনছি সরকার থেকে নাকি দুই লাখ টাকা এসেছিল। সেই টাকার কোনো হিসাব নেই, কোনো ব্যাখ্যা নেই।”

এক প্রবীণ মুরব্বি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই ঈদগাহে আমরা নামাজ পড়ি, দোয়া করি। এই পবিত্র জায়গার নাম ভাঙিয়ে যদি কেউ টাকা তুলে নেয় এটা শুধু অন্যায় না, পাপও বটে।

জানা গেছে, এই প্রকল্পটি সরকারি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দ প্রস্তাবিত হয় এবং ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন এর বাস্তবায়নকারী হিসেবে নাম দেন। কিন্তু মাঠ পরিদর্শনে কোনো ধরনের সরকারি কার্যক্রমের প্রমাণ মেলেনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিনের বলেন আমি এই বরাদ্দের শতভাগ কাজ করেছি, কোন দুর্নীতি করিনি।

গোয়াইনঘাট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্ককর্তা বাধন কান্তি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে আলিম উদ্দিন বিল নিয়ছেন, কিন্তু গ্রামের অনেকেরই অভিযোগ এই বরাদ্দের টাকা ঈদগাহ কমিটির কাছে পৌছেনি, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। এবং ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে বরাদ্দের টাকা যেভাবে পৌছে সেই ব্যবস্হা করবো।

এদিকে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত এবং গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর দাবি বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং অর্থ আত্মসাতকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়েছে।

Manual6 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code
error: Content is protected !!