ছাতক সংবাদদাতা: ছাতক উপজেলার ১নং ইসলামপুর ইউনিয়নের ইছামতী–ছনবাড়ী এলাকার কাঁচা ও পাকা সড়ক গুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক, লরি, ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর দিয়ে মালামাল পরিবহনের কারণে এই অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে।
সিন্ডিকেটের অবৈধ বালু ও পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে পরিবহনের কারণে এই এলাকার সকল রাস্তা-ঘাটের বেহাল অবস্থা। প্রতিদিন গ্রাম্য এসব রাস্তা দিয়ে চোরাই বালু ও পাথর পরিবহন করা হচ্ছে ভারী ট্রাক, লরি, ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে।
গ্রাম্য এই সড়কগুলো মালবাহী ভারী ট্রাকের লোড নিতে পারছেনা বা সড়ক নির্মাণের সময়েই ভারী যান চলাচলের অনুপাতে সড়ক তৈরী করা হয়নি। এসব রাস্তা দিয়ে ৩ টনের অধিক মালামাল পরিবহনে রাস্তার উপর চাপ পডে কিন্তু এখন নিয়মিত শত- শত ড্রাম ট্রাকে ১২ থেকে ১৫ টন বালু-পাথর পরিবহন করা হচ্ছে।
এ দিকে কারো খেয়াল নেই বললেই চলে। প্রভাবশালী বালু ও পাথর খেকো চক্রের কাছে যেন জিম্মি হয়ে পড়েছেন এলাকার আমজনতা।
সীমান্ত এলাকার বালু-পাথর খেকো চক্রকে ঘিরে এখানে একটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজ চক্রের লোকজন প্রতি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে প্রতিদিন ৪/৫ “শ গাড়ি থেকে চাঁদা নিচ্ছে। বালু ও পাথর খেঁকোরা দিন-রাত এলাকার বিভিন্ন মহাল থেকে চোরাই পথে বালু-পাথর উত্তোলন ও বিক্রি করছে। আর এই চোরাই বালু ও পাথর কোম্পানিগঞ্জ ও ছাতকের বিভিন্ন নৌ-পথের সাইটে নিতে ভারী ট্রাক ও রাস্তা ব্যবহার করছে। মুলত চোরাই বালু ও পাথর পরিবহন করায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই রাস্তা-ঘাটগুলো ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার একাধিক প্রভাবশালী লোক এসব কর্মকান্ডে জড়িত। তাদের কেউ বাঁধা দিতে পারেনি। এলাকার রাস্তা-ঘাট ভাঙ্গার কারণে তাদের সাথে সম্প্রতি এক বৈঠক হয় এলাকাবাসীর। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে গ্রাম্য এসব রাস্তা- ঘাটে ৩ টনের অধিক মালামাল পরিবহন করা যাবেনা। কিন্তু চোরাকারবারি ও বালু সিন্ডিকেট এসব কিছুই মানছে না।
এব্যাপারে এলাকার কোন লোক আলোচনা করলে বা বাঁধা প্রদান করলে তাকে থানা পুলিশ, মিথ্যা মামলা দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। তাদের অবৈধ মাল পরিবহনে এই এলাকার সকল রাস্তা-ঘাট সাধারণ মানুষের জন্য চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে।
এব্যাপারে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।চাঁদাবাজরা তাদের স্বার্থে রাস্তা ভাঙ্গলেও মেরামত করে দিচ্ছেনা। এতে করে এই এলাকার জনসাধারণকে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন এলাকার মানুষের ঘর- বাড়ি, ফসলি জমি বিনষ্ট ও রাস্তা-ঘাট ভাঙ্গে বালু-পাথর খেঁকো চক্র যে তান্ডব চালিয়েছে তা বন্ধ করতে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) এবং থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply