মোঃ জামাল উদ্দিন: সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন চেঙ্গের খাল নদীর দুমখাল নামক স্থান থেকে বালু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায় কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার চামাউড়া কান্দি গ্রামের আব্দুর রুফ এর ছেলে সিলেট জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য ইমরান গাজীর নেতৃত্বেই এই বালু লুটপাট চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা পুলিশ মেনেজ করেই প্রতিদিন রাতের আধারে বালু লুটপাটের মহাযজ্ঞ চলছে। যার কারণে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ ও প্রসাশন। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের বিরাজও করছে।
স্থানীয়রা জানান- অবৈধভাবে বালু লুটপাটের সাথে জড়িত কালারুকা গ্রামের ইমাম উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন, একই গ্রামের সাবেক কমর আলির মেম্বারের ছেলে রুবেল ও জমির আহমদ, মোগলগাঁও গ্রামের মর্তুজ আলির ছেলে গোলাপ, একই গ্রামের আব্দুর নুরের ছেলে সালাম, আবুল কাশেম (আবুল) এর ছেলে নুর উদ্দিন (নুর) আলীনগর গ্রামের সোনামালার ছেলে কবির একই গ্রামের সাদুর রহমানের ছেলে আলী হোসেন তারা সবাই সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ইমরান গাজীর নেতৃত্বেই অবৈধভাবে বালু লুটপাট করছেন বলে জানান।
আরও জানান- রাতের আঁধারে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ হাজার ফুট মালবাহী ২০ থেকে ২৫ টি নৌকা বালু উত্তোলন করা হয়। পরে সেই বালু ৩ থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হয় বাদাঘাট বালু বিক্রির সাইটে। যার সিংহভাগ নিয়ে নেন ইমরান গাজী।
নাম না প্রকাশের শর্তে, এ সিন্ডিকেটের একজন বালু লুটপাটের সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে জানান- ইমরান গাজী উল্লেখিত সবাইকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করান এবং নিজেই এই বালু বাদাঘাট বালুর সাইটে এনে বিক্রি করেন।
ইমরান গাজীর ব্যবহৃত মোবাইল সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনকল রিসিভ না করায় বক্তব্য মিলেনি।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাট এবং তার সাথে বিএনপির কেউ জড়িতের বিষয়টি জানেন না তবে পরবর্তীতে জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদের সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান- অবৈধভাবে বালু উত্তোলন লুটপাটের সাথে থানা পুলিশ কোনভাবেই জড়িত নয়। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ এর সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনকল রিসিভ করেনি বিধায় বক্তব্য মিলেনি।
Leave a Reply