অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছে অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম।  | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
কোম্পানীগঞ্জে ওসির অবৈধ টাকার মেশিন ডেভিল শামীম অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছে অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম।  চিরিঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি’র পক্ষ থেকে আব্দুল হাফিজের নেতৃত্বে সমাবেশে অংশ নেন।  পটুয়াখালীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, বিএনপি-যুবদলের ৩ নেতা‌ গ্রেফতার। ৫ই আগস্ট উপলক্ষে মাওলানা আবদুস সালামের সাক্ষাৎকার। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সপ্তাহ না পেরুতেই আবারো চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ দ্যা সিস্টার্স ফোরাম আয়োজিত জুলাই অভ্যুত্থান অগ্নি কন্যাদের ভুমিকা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  পাবনার সামগ্রিক উন্নয়ন করে উন্নত জেলা শহরে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করব।  .. প্রিন্সিপাল ইকবাল হুসাইন কুড়িগ্রাম-১ আসনে গণসংযোগ চালাচ্ছেন সাবেক ছাত্র নেতা ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান মারুফ টাংগাইলের ধনবাড়ী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত
অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছে অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম। 

অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করেছে অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম। 

 

নিকস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

: বুধবার ( ৭ ই আগষ্ট ২০২৫), রাজশাহীর দূর্গাপুর পলাশবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মাইনুল ইসলাম ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোষর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দ্বারা ঘনিষ্ঠজন, সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান ( আসাদ) সহচর ও রাজশাহী মহানগরীর সাধারন সম্পাদক ডাবলু সরকারের আত্বীয় পরিচয় দানকারী, ফ্যাসিবাদের পক্ষে অর্থের যোগানদাতা দীর্ঘ (১৭) সতের বছর কোন নিয়মনীতি, আইনের তোয়াক্কা করেনি। অত্র কলেজে সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম করেছে।

অত্র কলেজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকের ভাষ্যমতে, তিনি তার প্রতিষ্ঠান নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটিকে তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি করেছেন। এখানে তার আত্মীয় সজন এবং স্ত্রীকে চাকরি দেন। তার স্ত্রী অত্র কলেজের সহঃ অধ্যাপিকা মোসাঃ আরজান্নেসা দীর্ঘ ১১ বছর অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন উত্তোলন ও প্রমোশন পাইয়ে দেওয়া। তিনি কোন নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। তিনি কোন রকম রশিদ ছাড়াই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এবং উপবৃত্তি বাবদ অর্থ আদায়, টাইম স্কেল বাবদ শিক্ষকের কাছে অতিরিক্ত উৎকর্ষ দাবি, জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের অনুদানের অর্থ আত্মসাৎ, চাকরি দেবার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা রকম অভিযোগ উঠেছে। অত্র কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে টাইম স্কেল বাবদ ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নেন। ৪ বছর পার হলেও তারা এখনো তাদের কোন টাইম স্কেল পাই নাই। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভবিরাজ করছে। তারা একাধিকবার এসব বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুরাহা পান নাই বরং তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।। অত্র কলেজের মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের (কম্পিউটার প্রদর্শক), টাইম স্কেল সংযুক্ত হয় এমপিও (মান্থলি পেটেন্ট অর্ডার) নভেম্বর ২০১৮ সালে। কিন্তু অধ্যক্ষের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় অতিরিক্ত প্রাপ্তি উত্তোলন করতে দেয়া হয়নি। পরবর্তীতে ৩ (তিন) মাস পর ২ (দুই) লক্ষ টাকায় সমঝোতার ভিত্তিতে মার্চ ২০১৯ সালে কর্তনকৃত অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করা হয়। যা ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুললে সারেজমিনে পাওয়া যায়। উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ: শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা আত্মসাত করা হয় অত্র কলেজের বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মচারীদের ও নানান নামে সিম ক্রয় ও মোবাইল নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।তথ্য নিয়ে জানা যায়, তার কাছে ১০০ টির বেশী সিম আছে। চাকুরী দেওয়ার নামে পলাশবাড়ী গ্রামের (১) লাল মোহাম্মদ পিতা মালু মোহাম্মদ কাছ থেকে ৫ (পাঁচ) লক্ষ দশ বছর পূর্বে নেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত তাকে কোন চাকরি দেওয়া হয় নাই। তিনি দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে তাকে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি দেন। চাকরিপ্রার্থী (২) শেফালী বেগম এবং তার বাবা আইনুদ্দিনের কাছ থেকে কলেজের জমি দাতা হিসেবে কলেজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন এবং কলেজের মাঠ দখল করে আম বাগান তৈরি করেন। কলেজের সম্পত্তি নিজেরাই ভোগ দখল করে। (৩) মোঃ সমজান আলী, পিতা রসূল, পলাশবাড়ী গ্রামের চাকরি দেওয়ার নামে ১০ বছর আগে লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু তাকেও কোন চাকরি দেওয়া হয় নাই। এভাবে তিনি প্রতিনিয়ত প্রতারণার জাল পেতে চলেছে। তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। পলাশবাড়ী গ্রামের, রাসেল পিতাঃ আইনুদ্দিন কাছে ডিগ্রী সমমান ভুয়া ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটের ২ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন। এই সার্টিফিকেটের নিশ্চয়তা নিয়ে তাদের মাঝে ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ইং সালে কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে মারামারির পর্যায়ে গড়াই। অভিযোগটি থানায় গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে তারা পিবিআই অফিসে ২০২৩ সালে দাখিল করে। তিনি দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে মামলার তদন্তকে ম্যানুপুলেট করেন বলে অভিযোগ আছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং অর্থের যোগানদাতা ছিলেন তিনি। তিনি চাকুরী জীবনের সর্বমোট বেতন উত্তোলন করেছেন আনুমানিক ২৪,০০০০০/টাকা (পাঁচ বছরে)। তিনি তার সকল সম্পদ স্ত্রী সহকারী অধ্যাপিকা মোসাঃ আরজান্নেসার নামে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১/হাট-গোদা গাড়ি বাজারে ১২ কাঠা জমিতে মার্কেট ২/কলেজের মাঠে ১৬ কাঠা জমির বাগান। ৩/রাজশাহী শিরোইল কলোনি ৪ নাম্বার গলি ছোট মসজিদ সংলগ্ন অটো গ্যারেজসহ ৮ কাঠা জমিসহ বাড়ি এবং পলাশবাড়ী গ্রামে ধানী জমি ও পুকুর। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ কোটির অধিক। এলাকাবাসীর দাবি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রভাবশালী মহলের মদদে দুষ্ট অধ্যক্ষের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কলেজের ম্যানেজিং কমিটি সরকারি বিজি লংঘন করে নিজেই তৈরি করেন। উপবৃত্তি আত্মসাৎ প্রসঙ্গে ১১/২/২০২৫ ইং তারিখে অভিযোগ দাখিল করেন মোঃ মাহতাব আলী, চাকুরী প্রত্যাশে শেফালী বেগম প্রতারণার অভিযোগ করেন এবং ২৬/১/২৫ ইং তারিখে ম্যানেজিং কমিটি

বৈধতা বিষয়ে অভিযোগ করেন হায়াত আলী। সকলেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিনের নিকট অভিযোগ দেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, তার ব্যক্তিগত সহকারী নুর এ শেফা (উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা) কে অভিযোগটি তদন্ত করতে কলেজে ৩রা ফেব্রুয়ারিতে প্রেরণ করেন এবং অধ্যক্ষকে ৭ দিনের সময় বেধে দেন। দুঃখের বিষয়, সাত কর্ম দিবসের মধ্যে অধ্যক্ষ তার জবাব দিতে ব্যর্থহয়।

৫/৪/২৫ ইং তারিখে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, একাডেমি সুপারভাইজার, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ মোস্তাকিন, জেলা প্রসাশক মনোনীত প্রতিনীধি আনারুল ও শিক্ষক কর্মচারীর সম্মুখে অকোপটে জেলা প্রসাশকের স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে।

অধ্যক্ষের জেলা প্রসাশকের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও অনান্য অনিয়মের বিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিনের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন, এই অধ্যক্ষ সবই করতে পারে। সে অধ্যক্ষের সকল বিষয়ে অবগত আছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

রাজশাহীর জেলা প্রসাশক আফিয়া আক্তার বিষয়টি অবগত আছেন এবং ব্যবস্থা গ্রহন করছেন।

সে সকল শিক্ষক কর্মচারীদের সব সময় হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন।

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সালে যে কমিটি গঠন করা হয়, তা সম্পূর্নরুপে স্বারক নং ভুল ও স্বাক্ষর জালজালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়।

এতসব অপরাধের পরও কেন প্রসাশন নিশ্চুপ? এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo
error: Content is protected !!