পাবনা বিটিসিএল অফিসে অনিয়ম–অবহেলা চাহিদা নেই দাবি করলেও কোটি টাকার সরকারি ব্যয়; সেবায় ভোগান্তি, পুনর্গঠনের দাবি | তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
মোহনগঞ্জ বাজারের সুইচগেট মোড়ে নিয়মিত সড়ক দুর্ঘটনা—দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি এলাকাবাসীর সিলেটে ১৩ কোটি টাকার বালু ৩৮ লাখে বিক্রি জাফলং এএসআই রেজওয়ানকে ম্যানেজ করে বালু-পাথর হরিলুট রৌমারীতে লকডাউন বিরোধী কর্মকাণ্ডে তিনজন গ্রেফতার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে গান পাউডার ও ককটেল তৈরীর সরঞ্জামাদি সহ আটক ১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ (নাচোল-গোমস্তাপুর- ভোলাহাট) আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন আমিনুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠিত নাচোলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫ উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক, পুলিশের উদাসীনতার অভিযোগ ভাঙ্গুড়ায় জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
পাবনা বিটিসিএল অফিসে অনিয়ম–অবহেলা চাহিদা নেই দাবি করলেও কোটি টাকার সরকারি ব্যয়; সেবায় ভোগান্তি, পুনর্গঠনের দাবি

পাবনা বিটিসিএল অফিসে অনিয়ম–অবহেলা চাহিদা নেই দাবি করলেও কোটি টাকার সরকারি ব্যয়; সেবায় ভোগান্তি, পুনর্গঠনের দাবি

Manual6 Ad Code

আব্দুল্লাহ আল মোমিনে

Manual6 Ad Code

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)–এর পাবনা জেলা অফিস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। অফিসে নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন না, নতুন সংযোগে অনিহা, বিল জটিলতা আর লাইনের ত্রুটিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ গ্রাহক। অফিসে যোগাযোগ করতে গেলে অনেক সময় দেখা যায়, কর্মকর্তারা ‘বাইরে’ বা ‘মিটিংয়ে’— এমন অজুহাতে এড়িয়ে যান সেবা প্রার্থীদের।

Manual4 Ad Code

গ্রাহক ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ, বিটিসিএল অফিসে তথ্য নিতে গেলে কর্মকর্তারা তাচ্ছিল্যপূর্ণ আচরণ করেন। অনেক সময় বলা হয়— “এখন বিটিসিএলের চাহিদা নাই, তাই কাজও নাই।” তবে প্রশ্ন উঠেছে, চাহিদা না থাকলে এত অফিস, কর্মকর্তা, গাড়ি, বেতন–ভাতা ও বাজেট কেন?

ইন্টারনেট বা ল্যান্ডফোন বিকল হলে মেরামতে লাগে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। অভিযোগ করেও সমাধান পাওয়া যায় না। একজন ক্ষুব্ধ গ্রাহক বলেন—
“বিল ঠিকভাবে দিই, কিন্তু লাইন ঠিক হয় না। অভিযোগ দিলে বলে— ঢাকায় কথা বলেন। এভাবে জনগণের টাকায় অফিস চলে, সেবা মেলে না।”

বিটিসিএল প্রতি বছর কোটি টাকার বেশি সরকারি বরাদ্দ পায়— অফিস পরিচালনা, সরঞ্জাম ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও বেতনের জন্য। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কাজের অগ্রগতি নেই। পুরনো যন্ত্রপাতি দিয়েই চলছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
“বিটিসিএল এখনো পুরনো কপার লাইনেই আটকে আছে। বাজেটের বেশিরভাগ অংশ প্রশাসনিক খরচে ব্যয় হচ্ছে, সেবার মানোন্নয়নে নয়।”

Manual2 Ad Code

অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়, অফিসে উপস্থিতি মনিটরিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। কর্মকর্তাদের দায়িত্ববোধের অভাব ও তদবির নির্ভর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠানটিকে আরও অচল করে তুলেছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন,
“উপরের নির্দেশ ছাড়া কোনো বড় কাজ হয় না। অনেকেই দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছেন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিটিসিএলকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে এখনই কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি। তাদের পরামর্শ—
অফিসে বায়োমেট্রিক উপস্থিতি মনিটরিং বাধ্যতামূলক করা,
অনলাইন অভিযোগ ও বিল ব্যবস্থাপনা চালু করা,
এবং প্রযুক্তি আধুনিকীকরণে বাজেট পুনর্বিন্যাস করা।

জনগণের টাকায় পরিচালিত এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বর্তমান চিত্র হতাশাজনক। অদক্ষতা, দায়িত্বহীনতা ও প্রযুক্তিগত পশ্চাদপদতায় হারিয়ে যাচ্ছে আস্থা। সরকার যদি দ্রুত উদ্যোগ না নেয়, তাহলে বিটিসিএল কেবল কাগজে-কলমেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকে থাকবে।

Manual2 Ad Code

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code
error: Content is protected !!