গোয়াইনঘাটে দুই পুলিশের তত্বাবধানে চলছে চোরাচালান | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গোয়াইনঘাটে দুই পুলিশের তত্বাবধানে চলছে চোরাচালান জকিগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশী হয়রানির অভিযোগ সুরমায় বালু উত্তোলনের তান্ডবে ধ্বংস বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সিলেটে সেনা অভিযানে অস্তিত্ব সংকটে চোরাই রাজ্য, হাল ধরেছে টেটু সুমন! একাধিক পত্রিকার ভূয়া পরিচয়ধারী মমিন আনসারীর তান্ডবে গনমাধ্যম প্রশ্নবিদ্ধ! দুই কিশোরী নিখোঁজে সাংবাদিক জামালকে ফাঁসানোর চেষ্টা: তদন্ত রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের নিন্দা গোলাপগঞ্জে বখাটের নির্যাতনে তরুণীর পড়ালেখা বন্ধ প্রকাশনা বন্ধে মুমিন আনসারীকে নিষেধাজ্ঞা গোয়াইনঘাটে মামলা-হামলায় জর্জরিত ছাত্রদল নেতা গোয়াইনঘাটে আট মাসে শতকোটি টাকার মালিক ওসি রফিকুল
গোয়াইনঘাটে দুই পুলিশের তত্বাবধানে চলছে চোরাচালান

গোয়াইনঘাটে দুই পুলিশের তত্বাবধানে চলছে চোরাচালান

তদন্ত রিপোর্ট ডেস্ক: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি ইউনিয়নের বিট অফিসার এস.আই রাকিব ও সহকারী বিট অফিসার এ.এস. আই তানভীরের তত্বাবধানে চলছে বেপরোয়া চোরাচালান।

অনুসন্ধানে উঠে আসে বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় অবৈধ গরু, মহিষ ও চোরাচালানের মূল হোত এস আই রাকিব ও এএসআই তানভির। বঙ্গবীর পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে ভারতীয় গরু, মহিষ বাহী ট্রাক থেকে চাঁদা উত্তোলন করে থাকেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।

গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্য দিনে রাতে প্রকাশ্যে প্রবেশ করছে। আর রাত গভীর হলেই সিলেট শহর ও সিলেট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে কৌশল অবলম্বন করে কাভার্ড ভ্যান ভর্তি চোরাই পণ্য যাচ্ছে।

পুলিশের নামে গাড়ি প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের রুস্তমপুর বিছনাকান্দি বিটের বিট অফিসার এস.আই রাকিব ও এ.এস.আই তানভীর শুধু গরু ও মহিষ নয় অবৈধ ভারতীয় এমন কোন পণ্য নেই যে যা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করছেন।

পরিচয় গোপন রেখে অনুসন্ধানী টিম জানতে পারে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু প্রতি ২ হাজার ও মহিষ প্রতি ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করে। তাছাড়া চিনি, কিট ও পাথর সবকিছুতেই তাদের চাঁদা দিয়ে অবৈধ কে বৈধ করে নিতে হয়। কেউ চাঁদা না দিলে তাদের সিন্ডিকেট এস.আই রাকিব কে দিয়ে ভারতীয় অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশের দায়ে তা ধরিয়ে দেয়।

সীমান্ত এলাকার চোরাচারালান বন্ধ করতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি, সিলেট এসএমপি কমিশনার, উপজেলা চোরাচালান বিরোধী ট্রাক্সফোর্স, চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির প্রতিমাসে সভা সেমিনার করলেও ঠেকানো যাচ্ছে না এসব অবৈধ কর্মকান্ড।

সূত্র বলছে পদস্থ কর্মকর্তা চোরাচালান বন্ধে তৎপর হলেও অধিনস্থ এস.আইরা জড়িত চোরাকারবারিদের সাথে রয়েছে তাদের গভীর সখ্যতা। কাঁচা টাকার লোভে তারা একেক এলাকায় নিয়োগ দিচ্ছেন একেক লাইনম্যান, দরকষাকষির মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতা পাচ্ছেন লাইনম্যানের দায়িত্ব।

স্থানীয়রা বলছেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চোরাই পণ্য দিনে রাতে প্রকাশ্যে প্রবেশ করছে। আর রাত গভীর হলেই সিলেট শহর ও সিলেট হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সে সব পন্য আবার সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে কখনো কাভার্ড ভ্যান ও বালুর ট্রাকে করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিছনাকান্দি বিটের বিট অফিসার এস.আই রাকিব ও এ.এস.আই তানভীর জানান- তাদের সাথে দেখা করে সাংবাদিককে কথা বলতে নতুবা তারা এ বিষয়ে কোন বক্তব্য প্রদানে রাজি হননি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমেদ এর ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি সাংবাদিকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo
error: Content is protected !!