তিনি বলেন, নতুন আইনে আগের সাইবার সিকিউরিটি আইনের ৯টি ধারা বাতিল করা হয়েছে। এসব ধারার অধীনেই আগের সরকারের আমলে ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয়েছিল, যা নতুন আইনের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, এই ৯টি ধারা বাতিল হওয়ার ফলে জাতির পিতা ও জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল, সেগুলোসহ অধিকাংশ মামলাই আর টিকবে না। আইন উপদেষ্টা বলেন, নতুন সাইবার আইনে নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় উসকানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত আমলে নেওয়ার জন্য আলাদা ধারা সংযোজন করা হয়েছে।
বৈঠকে আরও দুটি আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান ড. নজরুল। এর মধ্যে রয়েছে সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইন এবং সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট (সিপিসি) আইন। তিনি বলেন, সিপিসি আইনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
আইন উপদেষ্টা বৈঠকে উল্লেখ করেন, বড় ধরনের কোনো আইনগত সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া করা হবে না। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে যারা বিদ্বেষমূলক ও অশালীন ভাষায় মন্তব্য করছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে শালীনতার সীমা রক্ষা করে মত প্রকাশ করার জন্য। তিনি জানান, কমিশন কেবল সুপারিশ দিয়েছে, এটি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ঈদুল আজহার ছুটি ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত না করতে ১৭ ও ২৪ মে শনিবার অফিস খোলা রাখা হবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
Leave a Reply