তদন্ত রিপোর্ট প্রকিবেদক: সিলেটের আলোচিত বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে। তমিজ উদ্দিনের মালিকানাধীন নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ নুর জাহান আবাসিক হোটেলে গড়ে উঠেছে স্বৈারাচার আওয়ামী লীগের পলাতক আসামিদের আড্ডাস্থল।
হোটেলের ভিতর রয়েছে বিশাল বড় বড় আলিশান রুম। সেই রুম গুলোতে গোপনে অবস্তান করছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এই হোটেলে রাত্রি যাপন করে সকালে আদালতে যান। এক সময় আওয়ামী লীগের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খানের নামে চলছিলো হোটেলটি। হোটেলের নিচে সিড়ির সামনেই নাসির উদ্দিনের নামে একটি নেইম ফলক ছিলো। সাবই জানতো এটা নাসির উদ্দিনের হোটেল।
গত ৫ আগস্টের পর এই নেইম ফলকের উপরে সাদা রং দেওয়া হয়েছে।গত শনিবার কানাইঘাট উপজেলার মমতাজগঞ্জ বাজারে সন্ধ্যার পর তমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মহড়া ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠনের ছেলেরা। এ সময় বাজারে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশের লোকজন বাজারে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়।জানা গেছে, লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য থাকা কালে এলাকার মানুষের সম্পদ ও লোভাছড়া কোয়ারী লুটপাট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তমিজ উদ্দিন।
ওই সময় তাকে সকল প্রকার সহযোগীতা করেছেন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ। এই দুই জনের ক্ষমতার প্রভাবে ততকালীন কানাইঘাট থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও সেকেন্ট অফিসার স্বপন সরকারের মাধ্যমে দৈনিক কোটি কোটি টাকার লেনদেন করতেন তমিজ। সেই সময় তিনি কালো টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। প্রায় তিন কোটি টাকা সিলেট নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ টরেন্টো আবাসিক হোটেল ক্রয় করেন। হোটেলটি বিক্রি করেন নগরীর সুবিদবাজারের বাসিন্দা নিরু মিয়া নামের সাবেক এক কাউন্সিলর। তিনি লন্ডন প্রাসী ছিলেন। এই হোটেল ক্রয় করে সাথে সাথে নাম পরিবর্তন করেন তমিজ উদ্দিন। উনার মায়ের নামে হোটেলটির নাম করণ করেন ‘নুর জাহান আবাসিক হোটেল’।
নুরজাহান আবাসিক হোটেলের উদ্বোধন করেন সিলেট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর থেকেই ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিন মতই বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা পতীক নিয়ে নির্বাচন করেন তমিজ উদ্দিন মতই। এই নির্বাচনে কালো টাকার বিনিময়ে ভোট কারচুপি করে বনে যান চেয়ারম্যান। চোয়ারম্যানের চেয়ারে বসেই শুরু করেন লুটপাট। সেই লুটপাট করেই গড়ে তোলেন টাকার পাহাড়।
আওয়ামী লীগ নেতা তমিজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমে বলেন-আমার এটা আবাসিক হোটেল এখানে যে কেউ আসতে পারে। রুম ভাড়া নিয়ে মিটিং-বৈঠক করতে পারে। আমি কেন বাধা দিতে পারবো না। আমি নিজেই পুলিশের ভয়ে ৫ আগস্টের পর থেকে পালিয়ে আছি। কানাইঘাটে লক্ষীপ্রাসাদ পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তমিজ উদ্দিন মতই এর অনিয়ম-দূর্নীতি নিয়ে আগামী পর্বে তোলে ধরা হবে।
সংবাদটি চলমান থাকবে…
Leave a Reply