স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে বুধবার গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্টানে যোগ দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা-মহানগরের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীগণ।
উক্ত অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ছাত্রদলের তিনবারের সফল সভাপতি, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী বদরুজ্জামান সেলিম।
বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসন আমলে কোন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। সরকার নির্বিচারে দমন নিপিড়ন চালিয়েছে। যেখানে আলেম উলামারা ওয়াজ মাহফিল করেছেন সেখানে সরকার বাধা দিয়েছে। বিএনপির কোন সমাবেশ হলে মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়ে মাইক কেড়ে নেওয়া হতো। তবুও সকল বাধা উপেক্ষা করে দেশের মানুষের প্রাণের সংগঠন বিএনপির প্রতিটি সভাবেশে লক্ষ-লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছে। গত বছরের ৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীকে যে দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন সে লক্ষে আজ সিলেটের রেজিষ্টারি মাঠে জেলা বিএনপির এই গণসমাবেশ।
উক্ত সমাবেশে তিনি আরো বলেন, সিলেট-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আপনাদের সকলের ভালোবাসার বদরুজ্জামান সেলিম। আমি সিলেট-৪ আসন থেকে নির্বাচন করতে মাঠে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আজকের সমাবেশে এই ৩ উপজেলার সাধারণ মানুষ নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছি। আমার সাথে যারা আজ এ মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন তারা দেখিয়ে দিয়েছেন তাদের মনে আমাকে জায়গা করে দিয়েছেন।
আমি তাদের কল্যানে কাজ করতে পারবো। এসময় তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি অনেুরোধ জানিয়ে বলেন, কোন রকম তাল বাহানা না করে একটি ফেয়ার নির্বাচন দেওয়ার জন্য। যাতে সাধারণ জনগণ তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে। দেশনায়ক তারেক রহমান বারবার বলছেন, একটি নির্বাচনী রূপরেখা দিয়ে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার দ্রুত ফিরিয়ে দিতে। বিগত ১৭ বছর ধরে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা পালিয়েছে, সে আন্দোলনের রুপকার ছিলেন তারেক রহমান। আজ যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছেন তা তারেক রহমানের নির্দেশে ১৭ বছর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতিফলন। ১৭ বছরের আন্দোলন ভুলে গেলে চলবে না। বিএনপির আত্মত্যাগ ভুলে গেলে চলবে না।
Leave a Reply