বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ইফতার পার্টি নিয়ে চলছে 'এলাহী কান্ড' | তদন্ত রিপোর্ট

রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের দোরগোড়ায় অধ্যাপক কামাল হোসেন — বাগমারায় ৩১ দফা প্রচারে সরব বিএনপি দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে টেকসই পরিকল্পিত উন্নয়ন অবকাঠানো নির্মাণের দাবি রাইট টক বাংলাদেশের। শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন অবৈধ লটারিতে প্রশাসনের নীরবতা: পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ লোহাগড়া উপজেলায় খাল থেকে মানুষের ক’ঙ্কা’ল উদ্ধার,, ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার  নযথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো নাচোলের রাণী ইলা মিত্রের জন্মশত বার্ষিকী এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল উপলক্ষে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের দুই নেতার শুভেচ্ছা ও প্রেরণার বার্তা “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বড়াইগ্রামে জামায়াতের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ” নোঙর সভাপতি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান এর ৫৯ তম জন্মদিন পালন করলো উত্তরণ পাবনা 
বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ইফতার পার্টি নিয়ে চলছে ‘এলাহী কান্ড’

বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ইফতার পার্টি নিয়ে চলছে ‘এলাহী কান্ড’

কয়ছর এম আহমেদ

Manual1 Ad Code

তদন্ত রিপোর্ট  ডেস্ক: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ইফতার পার্টি নিয়ে চলছে ‘এলাহী কান্ড’। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক এম কয়ছর আহমেদ এর সৌজন্যে এই দুই উপজেলায় নানা আয়োজনে ঘটা করে ইফতার মাহফিল চলছে।

Manual3 Ad Code

এই নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কয়ছর এম আহমেদ দেশে এসে ইফতারের নামে নানা অনিয়ম করছেন। তার বলয়ের নেতাকর্মীরা দলীয় লোকসহ কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সম্ভাব্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট থেকে বড় অংকের চাঁদা উত্তোলন করছেন।

জগন্নাথপুরের কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতা বিশেষ সুবিধার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই চাঁদার ভাগও দিচ্ছেন।  ইফতার পার্টি নিয়ে এ যেন চাঁদাবাজির অভিনব পন্থা।  এই নিয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Manual6 Ad Code

স্থানীয় বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়,  আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন। চলতি রমজানের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে আসেন।

তার সৌজন্যে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় জাকজমকভাবে  মাঠে প্যান্ডেল বেঁধে  ইফতারের আয়োজন হচ্ছে। প্রতিটি ইফতার মাহফিলে ১-২ টি গরু জবাই হচ্ছে। ব্যয় হচ্ছে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। এসব ইফতার মাহফিলে  সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে কিছু সিনিয়র নেতা ভাড়া করে  আনছেন। এছাড়া নেতাকর্মীসহ শতশত লোকজন ও অংশ নিচ্ছেন । এমন আয়োজনের ভোজ থেকে বাদ যাচ্ছেনা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।

Manual1 Ad Code

নির্ভযোগ্য সূত্র আরো জানায়, দুই উপজেলায় ইফতার মাহফিলের আয়োজনের বিপূল অর্থ  এক একটি ইউনিয়নের দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে আগে ভাগে পৌঁছে দেওয়া হয়। স্থানীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য সুবিধাবাদী প্রার্থী, আওয়ামী ঘরের কতিপয় লোক ছাড়াও কয়ছর এম আহমেদ এই বিপুল অর্থের যোগানদাতা।

জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে  জাতীয় নির্বাচনে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বরাবরই বিজয় অর্জন করে। এমনকি স্থানীয় নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী পরিবারের লোক ছাড়া অন্য কোনো দলের লোক বিজয় অর্জন করতে পারেন নি।

সম্প্রতি এ ইউনিয়নে কয়ছর এম আহমদের সৌজন্যে ঘটা করে ইফতার মাহফিলের আয়োজন হলে আওয়ামী লীগের দলীয় লোকেরাও অংশ নেয়। যুক্তরাজ্যের চিহ্নিত আওয়ামী নেতা সিতাব খান এই  ইফতার মাহফিলে একটি গরুর যোগানদাতা। এছাড়া সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নে অধিকাংশ জনসাধারণ ইসলামী দলগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। এই ইউনিয়নে বিএনপির তেমন অবস্থান না থাকলেও আওয়ামী লীগের যথেষ্ট প্রভাব ছিল।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এমপি হওয়ার আগেও কয়ছর এম আহমেদ নিজের বলয়ের লোক দিয়ে জগন্নাথপুর- শান্তিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান সিলেক্ট করে নেন। তার ব্যক্তিগত মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ও ওয়ার্ড সদস্যের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন।

এসব টাকা ইফতার মাহফিলের খরচে ব্যয় হচ্ছে। আগামী ইউপি নির্বাচনে জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ফরুক আহমেদ এর কাছ থেকে নগদ ২ লাখ টাকার বদৌলতে গরু নেন। জগন্নাথপুরে কয়ছর এম আহমদের নিজ বলয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। অতীতে জগন্নাথপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর মধ্যে বেপরোয়া আচরণ না থাকলেও বর্তমানে তা লক্ষ্যনীয়। এই সন্ত্রাসী চক্র চাঁদাবাজিতে ব্যাপক তৎপর। সম্প্রতি এই চক্র জগন্নাথপুর উপজেলার বেশকয়েকটি হাওররক্ষা বাঁধ নিজেদের ভাগে নেয়।

Manual4 Ad Code

প্রসঙ্গত রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়ছর এম আহমেদ দেশে এসে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি  ইউনিয়নে ঘটা করে কর্মীসভার আয়োজন করেন। এসব কর্মীসভায় মাঠে প্যান্ডেল বেঁধে বিপূল অর্থ ব্যয় করা হয়।  কর্মীসভা গুলোতে গরু জবাই করে  তার বলয়ের নেতা- কর্মীদের ভোজের আয়োজন করা হয়।

এছাড়া নিয়ম বহির্ভুতভাবে জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে  তার ছবি  ফেস্টুন টানানো হয়। এমনকি তার  বলয়ের নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল শো ডাউন করে লোকজনকে আতংকিত করেন। এসব কারণে  ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে তাকে শোকজ ও করা হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code
error: Content is protected !!