শহীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা | সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন মাদকদ্রব্য আটক প্রসঙ্গে। ইলিশের কম ধরা পরায় বাজারে দাম বেশি: ফরিদা আখতার ঝিকরগাছায় বাস ও পিক‌আপের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১জন নিহত দূর্গাপুরে আকশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ মাদ্রাসার ছাত্রকে অপহরণকারী ২জন যুবক মুক্তিপণ সহ লোহাগাড়ায় গ্রেফতার রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন মাদকদ্রব্য আটক প্রসঙ্গে রৌমারীতে ৮ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও একটি মোটরসাইকেলসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে রৌমারী থানা পুলিশ লোহাগাড়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু পটুয়াখালীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত… রৌমারীতে জামালপুর ব্যাটালিয়নের (৩৫ বিজিবি) অভিযানে আসামীবিহীন ভারতীয় মদ- ৩৩ বোতল আটক।
শহীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

শহীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

শহীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শহীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

যাদের রক্তের বিনিময়ে দুই যুগের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটেছিল, বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল বাংলাদেশের, মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকীতে সেই বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি।

সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে একাত্তরের সেই মুক্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর সকাল ৭টায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা এক সঙ্গে সাভার স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এর আগে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সাভার স্মৃতিসৌধে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা তাকে স্বাগত জানান।

তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় সালাম জানায়। শহীদদের স্মরণে বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সোমবার বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সোমবার বিজয় দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং বিদেশি অতিথি শহীদ বেদীর সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা দুই লাখ মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ পেয়েছে স্বাধীনতা।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

শ্রদ্ধা জানানো হয় বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এটাই প্রথম বিজয় দিবস। প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়।

ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হয় সবার জন্য; পতাকা আর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে সৌধ প্রাঙ্গণে। ফুলে ফুলে ভরে উঠতে থাকে শহীদ বেদী।

পাকিস্তানি শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীনতার জন্য যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তা সফল পরিণতি পায় নয় মাস পর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে।

সেদিন ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী।

তাই ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস; বিশ্বের হাতেগোনা যে ক’টি দেশের স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি বিজয় দিবসের মতো উৎসবের উপলক্ষ রয়েছে, তার একটি বাংলাদেশ।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Add



© All rights reserved © tadantareport.com
Design BY Web WORK BD
ThemesBazar-Jowfhowo

Follow for More!

error: Content is protected !!